ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোহিঙ্গা সংকটে জঙ্গিবাদ মেনে নেওয়া হবে না : আইজিপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৪৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, চলমান রোহিঙ্গা সংকটকে ইস্যু করে কেউ জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করলে এবং অন্য কোনো দেশে হামলা চালানোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যবহারের চেষ্টা করলে আমরা তা অ্যালাউ (সহ্য) করবে না।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রাণ দেয়ার নামে বিভিন্ন সংগঠন রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। কেউ রিলিফ (ত্রাণ) দিতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দিতে হবে। যার খুশি সেই যাবেন সেটা হবে না।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তারা অবৈধ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবেন বলে জানান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য ২ হাজার একর জমিতে শরণার্থী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট শিবিরের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইন অনুযায়ী অবৈধ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবেন।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়লে প্রচলিত আইনে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করার কথা। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় কোনো রোহিঙ্গা নির্ধারিত এলাকার বাইরে পাওয়া গেলে তাকে রেসকিউ (উদ্ধার) করে নির্দিষ্ট শিবিরে পাঠানো হবে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে বাইরে থেকে উদ্ধার করে শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রবেশের সময় প্রথমে বিজিবি ও কোস্টগার্ড তাদের বাধা দিয়েছিল। কিন্তু ২৭০ কিলোমিটার সীমানাজুড়ে রোহিঙ্গা স্রোতের মুখে আর বাধা দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

নির্ধারিত স্থানে তাদের জন্য বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ব্যক্তিদের আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে, তাদের সবকিছু ডাটাবেইজে সংরক্ষিত থাকবে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক সমস্যা বিবেচনায় তাদের নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভিসা-পাসপোর্ট নেই, তারা বাইরে যাবেই বা কেন? তাদের যদি আইডি কার্ড না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বলেন তিনি।

শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়লে হয়তো এ দেশের নাগরিক হতে চাইবে, নয়তো কাজ করার চেষ্টা করবে। তারা হয়তো কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়বে কিংবা কোনো প্রতারক চক্রের মাধ্যমে অপরাধে শিকার হবেন। রোহিঙ্গারা দেখতে আমাদের মতো হলেও ভাষাগত দিকে এক নয়, তাই ছড়িয়ে পড়লে ধরা পড়বেই। বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে আশ্রয় নিলে যেভাবে গণ্য করা হয় তাদেরও তখন সেভাবে গণ্য করা হবে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি