ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা সংকটের কূটনৈতিক সমাধানেই জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৫, ৫ নভেম্বর ২০১৭

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শ্যানন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানেই জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ষষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বমূলক সংলাপ শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শ্যানন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে গত আগস্টের শেষ ভাগ থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকেই আরো চার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।   

শ্যানন বলেন, এই মুহূর্তে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, আমাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গত শুক্রবার বাংলাদেশে আসা যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদলের নেতা সিমন হেনশ বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু করার দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের।

গত বছর গণতন্ত্রে ফেরার পর মিয়ানমারের উপর থেকে অবরোধ তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে কিছু অবরোধ ফের আরোপের চিন্তাভাবনা করছে তারা। এজন্য গত সপ্তাহে মার্কিন সিনেটে একটি প্রস্তাবও তোলা হয়।

প্রস্তাবটি পাস হলে রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের উপর সুনির্দিষ্ট অবরোধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এবং দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে মিয়ানমার বলছে, অবরোধে পরিস্থিতি আরো খারাপই হবে।

এখনই অবরোধে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদ সম্মেলনে শ্যানন বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সমস্যার সমাধান করা এবং এই সংকটের কূটনৈতিক সমাধান খোঁজা।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান শ্যানন।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্ত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মানবিক সহায়তা দিচ্ছে এবং সংকট সমাধানে অন্তত ৩১ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়া গেছেও বলে জানান মার্কিন কূটনীতিক শ্যানন।

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যে বার্ষিক এই অংশীদারিত্বমূলক সংলাপে মূলত দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় স্থান পায়। তবে আলোচনার বড় একটা অংশ জুড়েই ছিল রোহিঙ্গা সংকট।

এমআর/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি