ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে সময় নেবে মিয়ানমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৫২, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা  সংকট সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন মিয়ানমার সফর শেষে দেশে ফিরে বলেছেন, `মিয়ানমারের নাগরিকদের` ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারকে যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাতে রাজি হয়েছে দেশটি। এই সফরের ফলাফল নিয়ে তিনি আশ্বস্ত বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিয়াও সোয়ে ও দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সাং সুচির সাথে বৈঠক করে বুধবার সন্ধ্যোয় ঢাকায় ফেরেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

কিন্তু মিয়ানমারের একটি গণমাধ্যম বলছে অন্য কথা। তাদের মতে, দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক থাকলেও এদের পরিচয় যাচাই বাছাই করার সক্ষমতা না থাকায় তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করতে সময় নেবে।

আর বাংলাদেশে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা এসেছে বলে বলা হচ্ছে, সেই সংখ্যা নিয়েও তাদের সংশয় আছে।

মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইরাওয়াদির অনলাইন সংস্করণে খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়, মিয়ানমার-বাংলাদেশ বৈঠকে দু’পক্ষ শরণার্থী প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

সংবাদপত্রটির সম্পাদক কিয়াও জোয়া মোয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি এই সফরটি নিয়ে মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তাদের বক্তব্য হচ্ছে, শরণার্থী প্রত্যাবাসন নিয়ে যতক্ষণ দু’দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি না হচ্ছে, ততক্ষণ এই ইস্যুতে কোনো কাজই শুরু করা যাবে না

মি. মো আরো বলেন, জাতিসংঘ শরণার্থী রোহিঙ্গাদের যে সংখ্যা উল্লেখ করছে এবং মিয়ানমারের প্রশাসনের কাছে যে হিসেব আছে তার মধ্যে বিস্তর পার্থ্যক্য রয়েছে। ফলে এটাও এই কার্যক্রম শুরুর পেছনে হিসেবে একটি বাধা হিসেবে কাজ করছে।

তবে সবচাইতে বড় বাধা হচ্ছে অবকাঠামো এবং রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই বাছাইয়ে সক্ষমতার অভাব।

দৈনিক ইরাওয়াদির সম্পাদক আরও বলেন, "আমি মনে করি, এই মানুষগুলোর পরিচয় কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, সেটা নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা আছে। কারণ বাংলাদেশ অংশে লাখ লাখ মানুষ আছে।"

"তারা যদি সবাই একযোগে আসতে চায়, আমি মনে করি একসাথে এদের পরিচয় নিশ্চিত করবার সক্ষমতা মিয়ানমারের নেই। আমি মনে করি এ কারণেই প্রস্তুত হবার জন্য সময় নিচ্ছে মিয়ানমারের সরকার", বলছিলেন মি. মো।

অবশ্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান নিজেও কোন চুক্তি বা ঐক্যমত্যের কথা উল্লেখ করেন নি।

তিনি শুধু তার প্রস্তাবে মিয়ানমারের রাজি হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মিয়ানমার ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস নিয়েছে বলে বিবিসিকে জানান।

সেই সঙ্গেই বলেন, তারা কী ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।

কিন্তু মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দৈনিক ইরাওয়াদির সম্পাদক যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে কক্সবাজারে অবস্থানরত লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সহসাই শুরু হবার কোন ইঙ্গিত মিলছে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি