ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব মিয়ানমারকেই নিতে হবে : পম্পেও

প্রকাশিত : ২০:০৯, ৯ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৪০, ৯ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে যে কোন ধরণের ভয়ভীতি ও নিপীড়ন ছাড়াই নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব মিয়ানমারকেই নিতে হবে। উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া মিয়ানমার সরকার ও সেনা বাহিনীর দায়িত্ব।

সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মাইক পম্পেও’র সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের বৈঠককালে তিনি একথা বলেন। আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা বলা হয়।
বৈঠককালে পম্পেও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মোমেন জানান, বাংলাদেশ নিজ ব্যয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও এইড গ্রুপগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় ভাষানচর দ্বীপ বাসযোগ্য করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।

এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু, বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনা, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ এবং বহুমুখী খাতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের অংশিদারিত্ব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
তিনি বলেন, এটা সন্ত্রাস ও চরমপন্থা প্রতিরোধ এবং আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দুদেশের মধ্যকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
উভয় নেতা একমত পোষণ করেন যে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অধিকতর উন্নয়নে আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জ্বালানি ও অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে এ অঞ্চলের নেতৃবৃন্দকে সুশাসন, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ তার অসাধারণ উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এ কথা উল্লেখ করে মোমেন তেল ও গ্যাস খাতে ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান ।
তিনি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) আসন্ন নির্বাচনে ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন।
পরে বাংলাদেশের সফররত মন্ত্রী পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি এ্যাডভাইজার চার্লস কুপারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: বাসস।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি