রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবে ভারত
প্রকাশিত : ২১:১০, ১১ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২২:২১, ১১ আগস্ট ২০১৭
মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে ভারত। এজন্য টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হচ্ছে। ভারত সরকারের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ৯০’ দশকের পর বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে পরিচিত মিয়ানমার থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর কিছু অংশ ভারতেও প্রবেশ করে। কিন্তু জাতিসংঘের হিসাব বলছে, দেশটিতে মাত্র ১৪ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধিত আছে।
ভারত সরকার বলছে, বাকি সব অবৈধ। এদেরকে ফেরত যেতে হবে। শরণার্থী নিয়ে জাতিসংঘের কনভেনশনে ভারতের কোনো চুক্তি নেই। দেশের কোনো আইনেও একথা বলা নেই। দেশটির আভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কে এস দাতওয়ালিয়া বলেন, এ বিষয়টি এখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচিত হচ্ছে। সঠিক সময়ে সবকিছু পরিষ্কার করে জানানো হবে।
আভ্যন্তরীণ এক মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনায় টাস্ক ফোর্স গঠন করে জেলা পর্যায়ে অবৈধ বিদেশিদের সনাক্ত করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ভারত যেটা করতে যাচ্ছে সেটা অসাংবিধানিক হবে।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের ভারতীয় অফিস জানিয়েছে, নয়া দিল্লির এই পরিকল্পনা তারা খতিয়ে দেখছে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারত যেখানে খাওয়া-পরা, কর্মসংস্থানের জন্য লড়াই করছে, সেখানে স্বভাবতই এই রোহিঙ্গারা সেখানে ভালো নেই। ভারতের জাতীয়তাবাদ, ইসলামী বিদ্বেষে তাদের প্রতিনিয়ত জ্বলতে হচ্ছে।
গতবছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের এক চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হন। এর পরই রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ নামের ওই অভিযানে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক নিপীড়ন, বাড়ি-ঘর পোড়ানো, ধর্ষণ ও পালিয়ে যেতে বাধ্য করে সেনাবাহিনী। এ সময়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন