রোয়ানুর আঘাতে লন্ডভন্ড উপকূলের জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে
প্রকাশিত : ১১:৩৭, ২৩ মে ২০১৬ | আপডেট: ১১:৩৭, ২৩ মে ২০১৬
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে লন্ডভন্ড চট্টগ্রাম উপকূলে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে সহায়সম্বল হারিয়ে দিশেহারা উপকূলবাসী। এখনো পানিবন্দী তিন উপজেলার ২ লাখের বেশী মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থদের পুণর্বাসনে শিগগিরই সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা পাঠানোর কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে বিধ্বস্ত চট্টগ্রামের বিস্তির্ণ উপক’লীয় এলাকা। ১২ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি ফসল, গবাদি পশু ও কৃষিসহ ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার সম্পদ। জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন। এতে এখনো পানিবন্দী আছে দুই লাখের বেশি মানুষ।
দুর্গতদের এরইমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ।
দু-একদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে, সরকারের কাছে বরাদ্দের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
এদিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করায় রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর সচল হয়। স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। তবে রোয়ানুর আঘাতে পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং উঠে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংষ্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন