ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

লংগদু হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা আসামী ৪শ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ১১ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪০, ১১ জুন ২০১৭

লংগদু হামলার ঘটনায় প্রায় ৪শ জনকে আসামী ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীদের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে ৯৮ জনকে, বাকীরা অজ্ঞাত। পাহাড়ীদের গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকমা চিফ সার্কেল দেবাশীষ রায়। লংগদু হামলায় গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে রাঙ্গামাটিতে হরতাল করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
১ জুন যুবলীগ নেতা নয়ন হত্যার ঘটনায় লংগদুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পুণর্বাসিত বাঙালিরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২ জুন সকালে বিক্ষোভ মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় পাহাড়িদের চারটি গ্রামে। তিন টিলা, পুর্ব ও পশ্চিম মানিকজোড় ছড়া, ব্যাত্যাপাড়ায় পুড়িয়ে ফেলা হয় প্রায় তিনশ ঘরবাড়ি।
এ ঘটনায় কিশোর কুমার চাকমা নামে একজন, ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় চারশ জনকে আসামী করা হয়। এর আগে পুলিশবাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৪শ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
চাকমা সার্কেল প্রধান দেবাশীষ রায় রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়ীদের গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সেখানকার আইন-শৃংখলা বাহিনী নিরপেক্ষ ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি এ অগ্নিসংযোগ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তিরও দাবি জানান।
এদিকে নয়নকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুইজন খাগড়াছড়ি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার রুনেল চাকমা ও জুনেল চাকমা নামের এই ২ জনকে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে লংগদু হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ২৪ জনকে। তবে অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ঘটনায় গ্রেফতারদের মুক্তির দাবিতে রাঙ্গামাটিতে সকাল সন্ধা হরতাল পালন করে পুণর্বাসিত বাঙালিদের সংগঠন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। এছাড়া বান্দারবনে আধাবেলা হরতাল পালন করা হয়।

 

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি