লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে মালয়েশিয়ায় মানববন্ধন

লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি অবমাননার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ। 

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহবায়ক এম রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে এ কর্মসূচির শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অহিদুর রহমান অহিদ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, হাইকমিশন কোনো দলের অফিস নয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো দলের নেতাকর্মী নন। হাইকমিশন একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা। তার ছবিকে অবমাননা করা মানে বাংলাদেশকে অসম্মান ও অস্বীকার করা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক রাশেদ বাদল, যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কামাল হোসেন চৌধুরী,শফিকুর রহমান চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, প্রদীপ কুমার, লিটন আজিজ দেওয়ান, হাবিবুর রহমান,দাতো আমীন, মিনহাজ উদ্দিন মিরান, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, প্রকৌশলী রাহাতুজ্জামান, মিনহাজ উদ্দিন মিরান, ফয়সাল হক, কাজী সারজিল সায়েফ মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রাশিদ মিয়াজী,আবুল কালাম প্রমুখ।

এ সময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরতদের কোনো অবহেলা ছিল কি-না তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে যাদের চেহারা দেখা যাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা, ব্রিটিশ নাগরিক হলে যুক্তরাজ্যকে চাপ দিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা, তাদেরকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা।

পরবর্তীতে দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি বাংলাদেশ হাইকমিশন বরাবর পেশ করা হয়। মিশনের পলিটিক্যাল মিনিস্টার রইস হাছান সারওয়ারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হওয়াকে কেন্দ্র করে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি অবমাননা করে এবং হাইকমিশনে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

কেআইি/এসি