লস্কর-ই-তৈয়বায় হিন্দু জঙ্গি!
প্রকাশিত : ১৬:২৭, ১২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৮:০৩, ১২ জুলাই ২০১৭
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার এক হিন্দু সদস্যকে নিয়ে চলছে তোলপাড়। পুলিশ ওই সদস্যকে গ্রেফতারের পর যখন জানতে পারে সে হিন্দু তখন সবার চোখ চড়কগাছ!
ওই হিন্দু সদস্যের নাম সন্দীপ শর্মা। সে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠনটিতে যুক্ত হয়ে `আদিল` নাম নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ দাবি করেছে, বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলা, ব্যাংক লুট, নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র ছিনতাই এবং জঙ্গিদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনায় সন্দীপ শর্মা ওরফে আদিল জড়িত।
লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সংগঠনে কোনো হিন্দু ব্যক্তির যুক্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বিস্মিত। আটক ব্যক্তিকে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়েছিল।
কে এই হিন্দু জঙ্গি `আদিল`?
সন্দীপ শর্মা উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরের বাসিন্দা। সে ২০১২ সালে কাশ্মীরে আসে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
কাশ্মীর রেঞ্জের পুলিশ মহানির্দেশক মুনির খান বলছেন, ‘সন্দীপ গ্রীষ্মকালে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করত আর শীতে পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় চলে যেতেন। পাঞ্জাবে কাজ করার সময়েই কুলগাম জেলার বাসিন্দা শাহিদ আহমেদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তারপর তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরে এসে প্রথমে এটিএম মেশিন থেকে টাকা লুট এবং অন্যান্য অপরাধে জড়ান।’
তার দাবি, ‘লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডার বশির আহমদ ওয়ানি বা বশির লস্করি গোষ্ঠীর সদস্য সন্দীপ শর্মা। এই গোষ্ঠীটিই কিছুদিন আগে দক্ষিণ কাশ্মীরে এক থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল।’
পরে গোষ্ঠীটির প্রধান বশির লস্করি পুলিশের সঙ্গে এক সংঘর্ষে মারা যান। যে বাড়িতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বশির লস্করির মৃত্যু হয়, সন্দীপ শর্মা সেখানেই ছিলেন।
সংঘর্ষের ঠিক আগে সন্দীপসহ ওই বাড়ির অন্য লোকজনকে পুলিশ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। যাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জানতে চাওয়া হয় যে বাড়িতে লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে, সে বাড়িতে তারা কী করছিলেন। এই প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি সন্দীপ শর্মা। তখনই সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের।
পরে আরো জিজ্ঞাসাবাদে সন্দীপ শর্মা লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
আরও পড়ুন