লিভার সিরোসিসে আক্রান্তরা মাংস খাবেন কি খাবেন না
প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ২০ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৫:১৮, ২৩ আগস্ট ২০১৮
আর একদিন পরেই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ উল আযহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমান তো বটেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এসময়ে সবাই একটু বেশিই মাংস আহার করে থাকেন। ফলে প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খাবার বেশি হয়ে যায় আমাদের খাদ্য তালিকায়। তবে যারা লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত তাদেরকে সংযত হতে হবে। নির্দিষ্ট এবং পরিমিত পরিমাণের চেয়ে বেশি আমিষ খাওয়া যাবে না। পরামর্শ চিকিৎসকের।
ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, যারা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত তাদেরকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। মাংস খাওয়ার সময় সাবধান হতে হবে।
মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তথা আমিষ থাকে। আর কোরবানির মতো উৎসবে এই মাংস খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্তরা যদি নিয়ন্ত্রণহীন মাংস খান তাহলে আক্রান্ত হতে পারেন হেপাটিক কোমায়।
ডা. মামুন আল মাহতাম স্বপ্নীল বলেন, “যারা প্রাণীজ আমিষ বেশি খান তারা হেপাটিক কোমায় আক্রান্ত হওয়ার সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। যাঁদের পেটে পানি আছে তারাও এর মধ্যে পরেন। হেপাটিক কোমায় আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন”।
অজ্ঞান হয়ে গেলে করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, “হেপাটিক কোমায় খুব দ্রুত যেমন অজ্ঞান হয়ে যায় তেমনি এর রিকভারিও (চৈতন্য ফিরে আসা) দ্রুত চলে আসে। তবে কারও কারও রিকভারি দেরিতে হয় অথবা একেবারেই হয় না। এক্ষেত্রে ল্যাকটুলেজ জাতীয় সিরাপ খেতে হবে। ভালো হয় দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে। এক্ষেত্রে লিভার এবং মেডিসিন এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কার্যকর পরামর্শ দিতে পারবেন”।
কোন ব্যক্তি হেপাটিক কোমার ঝুঁকিতে আছেন কী না তা বোঝা যাবে তার স্টুল (বর্জ্য) দেখে। স্টুল যদি নরম আর স্বাভাবিক থাকে তাহলে মোটামুটিভাবে ধরে নেওয়া যায় যে ঐ ব্যক্তি কোমার কম ঝুঁকিতে আছেন।
*এই পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
//এস এইচ এস//