শরণার্থীর ভারে কঠিন পরিস্থিতে বাংলাদেশ : যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভারে বাংলাদেশ যে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে, তার স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলেন, আমি জানি, অন্য যে কোনো দেশের মতোই, শরণার্থীদের ভার বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হিদার নোয়ার্ট মিয়ানমারের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নোয়ার্ট বলেন, বার্মার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গত ২৪ আগাস্ট রাখাইনে পুলিশ চেকপোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর সেখানে পাল্টা সেনা অভিযানের মুখে প্রতিদিনই রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছাড়ছেন।

ওই হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং সহিংসতা বন্ধ করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র।

রাখাইনে অস্থিরতা বাড়ে এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নোয়ার্ট বলেন, আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছার সুযোগ করে দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান রইল।

বাংলাদেশ গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় কাজ করছে। সহিংসতা বন্ধে ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে আমরা মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা যুক্তরাষ্ট্র ভাবছে না বলে জানান নোয়ার্ট।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন আমরা কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি; সম্ভাব্য কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এখনই আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। হবে কি হবে না- কোনোটাই বলতে পারছি না।

আরকে/ডব্লিউএন