ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শরীর ভাল রাখতে যে নিয়মে হাঁটাহাঁটি করবেন

প্রকাশিত : ১৩:৩৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, হার্টের নানা সমস্যা বা নিছকই ওবেসিটির শিকার, সমাধানের অন্যতম পন্থা ‘হাঁটুন’। চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদ, সবাই আজকাল হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন রোগীদের। এমনিতেই প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে কায়িক শ্রম অনেকটা কমেছে। শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ার কারণেই বিভিন্ন অসুখ দানা বাঁধছে শরীরে।

হাঁটা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটিতে কেবল পেশি বা স্নায়ুর উপকার হয় এমনই নয়, বরং হাড়ের জন্যও খুব উপকারী এটি। হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে দেওয়া, পেশিশক্তি বাড়ানো, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ইতিবাচক দিক রয়েছে হাঁটাহাঁটির। হাঁটলে শরীরে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়ে। তাই মানসিক চাপও উধাও হয় এতে।

তাই জিমে গিয়ে ভারী ওয়ার্কআউটের চেয়েও হাঁটার উপর আস্থা রাখেন বেশির ভাগ চিকিৎসক। কিন্তু এই হাঁটা নিয়েও বেশ কিছু ভুল ধারণা বা মিথ রয়েছে আমাদের। আপনিও কি এই সব মিথের প্রভাবে হাঁটা নিয়ে নানা বিভ্রান্তিতে ভোগেন?

ডায়াটেশিয়ান ও পুষ্টিবিদদের মতে, হাঁটা যায় যখন খুশি। সকালেই হাঁটতে হবে বা বিকেলে- এমন কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। কোন সময় হাঁটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। তার পর হাঁটুন।

১. ভরা পেটে যেমন ওয়ার্ক আউট হয় না, তেমন খালি পেটেও তা করবেন না। বরং হালকা কিছু খেয়ে বা খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর হাঁটুন।​

২. ভেঙে ভেঙে পাঁচ-দশ মিনিট করে হাঁটার চেয়ে একটানা আধ ঘণ্টা হাঁটুন। এতে অসুখের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা তৈরি হয়।

৩. একটা নির্দিষ্ট ছোট জায়গার এ মাথা-ও মাথা করেন? তার চেয়ে লম্বা রাস্তা ধরে হাঁটুন। ওতেই বেশি উপকার পায় শরীর। অনেকে ছাদে বা লম্বা বারান্দায় পায়চারি বা হাঁটাহাঁটি করেন। সীমিত জায়গা হয়ে গেলে শরীরে হাঁটার ছন্দ তৈরি হয় না। তার চেয়ে একটানা আধ ঘণ্টা হাঁটা যাবে এমন জায়গা বাছতে রাস্তায় নামুন। একান্ত বাইরে বেরতে না পারলে তবেই সীমিত জায়গায় হাঁটুন।

৪. হাঁটার সময় মোবাইল ব্যবহার বা গল্প করতে করতে হাঁটার অভ্যাস ছাড়ুন। ওতে হাঁটার জোর কমে যায়। শারীরিক উপকার পেতে তাই এমনভাবে হাঁটুন, যাতে ঘাম হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি