ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শরীরের বাইরে হৃৎপিণ্ড: বাঁচানো গেল না শিশুটিকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ১১ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৪৫, ১১ জুন ২০১৮

ছোট্ট শরীর থেকে বেরিয়ে আসা একটি মাংসপিণ্ড তালে তালে ধুকপুক করছে। দৃশ্যটা দেখেই চমকে উঠেছিলেন ডাক্তারবাবু। হৃৎপিণ্ড যে শরীরের বাইরে। একটু স্থিতিশীল করেই সদ্যোজাতকে রেফার করে দিয়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বাঁচানো গেল না বিরল শিশুটিকে।

গত বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের তেমাথানির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শিশুটির জন্ম হয়। সিজার করেন ডা. মানস ঘোষ। নার্সিংহোমের কর্ণধার ডা. উত্তম বারিক জানিয়েছেন, শিশুটির বুক ভেদ করে হার্ট বেরিয়ে এসেছিল। আর কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। স্বাভাবিক শিশুর মতোই কাঁদছিল সে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।

জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে বুধবার রাতেই শিশুটিকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ড বসে। সিদ্ধান্ত হয়, অস্ত্রোপচার করে শিশুটির হার্ট ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু তার আগেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে মৃত্যু হয়। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রভাস প্রসূন গিরি জানিয়েছেন, “আমি জীবনে একবারই দেখেছি এমন শিশু। এই রোগকে বলে ‘এক্টোপিয়া কর্ডিস’। বিদেশে হলে তবু বাঁচে। এখানে বাঁচানো মুশকিল। আসলে, হার্ট বুকের ভিতরে ঢোকানোর মতো ‘স্পেস’ পাওয়াই মুশকিল।” জানা গিয়েছে, প্রতি ১০ লাখে এমন একটি শিশুর দেখা মেলে বিশ্বে। এতটাই বিরল।

কয়েকদিন আগে কলকাতার চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, পাকস্থলি শরীরের বাইরে নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এক শিশু। শিশুটির নাভিমূল থেকে একটি বড় থলির মতো অংশ বেরিয়ে এসেছে। শিশুটির পুরুষাঙ্গ ও যোনি দু’টোই ছিল। এবার হার্ট শরীরের বাইরে নিয়ে জন্মাল তেমাথানির শিশুটি। ডাক্তারদের মত, ইউএসজি-তে এই অস্বাভাবিকতা ধরা পড়লে ভাল হত। অস্ত্রোপচার করে এই শিশুদের সুস্থ করা খুব মুশকিল। তাছাড়া আরও অনেক অস্বাভাবিকতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সূত্র: কোলকাত ২৪
এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি