ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শর্তে জামিন, ছয় মাস পর কেজরিওয়ালের মুক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৫:৪৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে আবগারি (মদ) দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার বেশ কয়েকটি শর্তে তাকে জামিন দিয়েছে। 

কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-জেল থেকে বেরোনোর পর তিনি কোনো ফাইলে সই করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে নিজের দপ্তরেও যেতে পারবেন না। এছাড়া, প্রকাশ্যে এই সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে দেশটির আর্থিক দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)'র মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন পেলেন কেজরিওয়াল। 

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। জামিন চেয়ে প্রথমে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে সুপ্রিম কোর্টে যান। 

গত ৫ সেপ্টেম্বর সে সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চে। এরপর রায় স্থগিত রাখা হয়। শেষমেশ শুক্রবার সেই রায় ঘোষণা হলো। 
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে সিবিআইও একই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে। কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে তিনিই হলেন ভারতের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালে গ্রেপ্তার হন।

দেশটির শীর্ষ আদালত লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের হয়ে প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালকে কয়েক দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়। অবশ্য পরে তিনি তিহাড়ে আত্মসমর্পণ করেন। 

অবশেষে ছয় মাস পর জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কেজরিওয়াল। এর আগে ইডির মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি পাননি তিনি। কারণ, সিবিআইয়ের মামলা তখনও ঝুলে ছিল। এবার দুই মামলাতেই তাকে জামিন দেওয়া হলো।

ইডি ও সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০২১ সালে দিল্লি সরকারের নতুন আবগারি নীতি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে কেজরিওয়ালের দল ১০০ কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুষের কোনো টাকা তদন্তকারী সংস্থা উদ্ধার করতে পারেনি। অকাট্য প্রমাণও হাজির করতে পারেনি। অভিযুক্ত ও ধৃত কারও বাড়ি থেকেও টাকা পায়নি। ইডি ও সিবিআইয়ের দাবি, সেই টাকা দলের নেতারা গোয়া বিধানসভা ভোটে খরচ করেছিলেন।

কেজরিওয়ালের দল তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেখছে।

শুক্রবার কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া বলেন, ‘ইডির মামলায় কেজরিওয়াল যাতে জামিনে মুক্তি না পেয়ে যান, সেই কারণেই সম্ভবত সিবিআইও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।’

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি