ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শহীদ নুর হোসেনের প্রতি আ.লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৩, ১০ নভেম্বর ২০২০

স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক শহীদ নুর হোসেনকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলিস্থানের নুর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্টে) সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ফুল দিয়ে শহীদ নুর হোসেনকে স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধা জানান। সকাল সাড়ে ৯টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতিয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্ট, গণফোরাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি, বাম গণতান্ত্রিক জোট।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়।

শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপের পথে প্রধান বাধা বিএনপি।’

কাদের বলেন, ‘আজ গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে, ৩০ লাখ শহীদের আকাঙ্খার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে, সত্যিকারের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে বিএনপি প্রধান অন্তরায়।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক দলের জন্ম তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের কাছে গণতন্ত্র ছিল, হা এবং না ভোটের গণতন্ত্র। যে ভোটে না বাক্স ছিলই না। সেদিন কোনো কোনো কেন্দ্রে ১১০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তাদের গণতন্ত্র কারফিউ গণতন্ত্র।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আহ্বান জানাই, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পেছনের দরজা দিয়ে আপনারা ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন। আসুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অসম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নূর হোসেন সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন সাহসী বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নূর হোসেন নিজের বুকে পিঠে লিখেছিলেন, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। সেদিন নূর হোসেনের শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার। শহীদ নূর হোসেন বাঙালির মনে সংগ্রামের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিল।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে রাজধানীর রাজপথে আন্দোলনে সামিল হয়ে নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার এই আত্মত্যাগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বেগবান এবং পরবর্তীতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি