ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

শাজনীনের ঘাতক শহীদুলের ফাঁসি কার্যকর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০১, ২৯ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৩৫, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলায় একমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। ২০১২ সাল থেকে শহীদ এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে শহীদুল ইসলামের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসি কার্যকরের পর সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার ভাই মহিদুল ইসলাম তার মরদেহ গ্রহণ করেন। তিনি মরদেহ নিয়ে রাতেই তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার ডাংগাদুর্গাপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে শহীদুলকে দাফন করা হবে।

কারাসূত্র জানায়, রায় কার্যকরের সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসি কার্যকরের সময় লিভার টেনে ধরেন কারাগারের প্রধান জল্লাদ রাজু। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সহযোগী।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানিয়েছেন, আজ (বুধবার) দুপুরে দণ্ডপ্রাপ্ত শহীদুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার স্বজনরা। সাক্ষাতের সময় শহীদুল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা বলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান ঢাকার গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত রায় দেন।

রায়ে শাজনীন রহমানকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৮ বছর পর ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টে ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিদের আপিলের শুনানি শুরু হয়।

এরপর গত ৫ এপ্রিল ওই বেঞ্চে আরো দুই বিচারপতিকে যুক্ত করে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা হয়। ৬ এপ্রিল থেকে ওই বেঞ্চে আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়। ২ আগস্ট আসামিদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসির রায় বহাল রেখে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এ মামলা থেকে বাকি চারজনকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন।

 

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি