‘শামীমের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা’
প্রকাশিত : ১৪:২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে থাকা যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কারো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আটক গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম সরকারের প্রায় সব ঠিকাদারি কাজ কীভাবে পেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাজ পেতে তিনি মন্ত্রণালয়ের কাউকে ঘুষ দিয়েছেন কিনা এবং তার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পরই বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসছে। যেসব তথ্য সংবাদপত্রে এসেছে তাতে বোঝা গেছে, জি কে শামীম একজন প্রভাবশালী ঠিকাদার। তার এ অবস্থান নিয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ সরকারের নেই। তবে তিনি যদি ঠিকাদারী কাজ পেতে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করে থাকেন কিংবা ঘুষ লেনদেন করে থাকেন তবে তা অপরাধ। সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে পিডাব্লিউডি’র প্রধান প্রকৌশলীদের ঘুষ দিয়ে ঠিকাদার জি কে শামীম অবকাঠামো নির্মাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে সচিবালয়ের ভবনসহ দশটির বেশি ভবন নির্মান করেছেন এবং কাজ চলমানও রয়েছে।
গত শুক্রবার নিকেতনের নিজ কার্যালয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ সময় র্যাবের অভিযানে তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে বিকালেই প্রেস ব্রিফিং করে র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, অভিযানে শামীমের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নগদ ১ কোটি ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার এফডিআর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এ ছাড়াও ৭টি শটগান, বিদেশি মুদ্রা ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। জি কে শামীম সরকারি টেন্ডারগুলো বাগিয়ে আনতেন। এ জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতেন তিনি।
আই/
আরও পড়ুন