শার্শায় কুড়া মেশানো গো-খাদ্য বিক্রি, প্রতারিত হচ্ছেন খামারিরা
প্রকাশিত : ১৩:৫৫, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

যশোরের শার্শায় ধানের কুড়া ও নিম্নমানের আটার সঙ্গে ভূষি মেশানো গো-খাদ্য বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন গো-খামারিরা। এ খাদ্য খেয়ে গরু-ছাগল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, এই কাজের সাথে জড়িত খোদ ওই বাজারের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
শার্শার বাগআঁচড়া বাজারের কয়েকটি পয়েন্টে রাতের আঁধারে ও দিনে গোডাউনের দরজা আটকে গোপনে নিম্নমানের ভূষির সাথে ধানের কুড়া ও নিম্নমানের আটা মিশিয়ে খালি বস্তায় ভরে তা দোকানে বিক্রি করে ক্রেতা ঠকানো হচ্ছে।
বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলের উত্তর পাশে একটি গোডাউনে দিনের বেলা চলছে নিম্নমানের ভূষির সাথে ধানের কুড়া ও আটা মিশানোর কাজ। মিশানো শেষ হলে তা নামকরা যে কোন একটি কোম্পানির খালি বস্তায় ভরে নতুন করে মেশিনের সাহায্যে মুখ সেলাই করে পাঠানো হচ্ছে বাজারের বিভিন্ন দোকানে।
এই নকল ভূষি তৈরির অভিযোগ বাগআঁচড়া বাজারে শামীম ট্রের্ডাসের মালিক শামীম হোসেনসহ আরও ৫/৬ জন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শামীম হোসেন জানান, তিনি একা এ কাজ করেন না। বাগআঁচড়া বাজারের আরও ৫ থেকে ৬ জন ব্যবসায়ীও এ কাজ করেন।
সেসব ব্যবসায়ীদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, শংকপুর সড়কের ঠাকুর ঘরের সামনেও এ কাজ চলছে। বাজারের ব্যবসায়ী বাবু চেয়ারম্যান মার্কেটের ভেতরে ও বাজারের একাধিক পয়েন্টে এমন কাজ চলে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি বলতে থাকেন শুধু আমাকে দোষারোপ করেন কেন। অন্য যারা করছে তাদের বিষয়েও দেখেন।
শার্শার সাতমাইল এলাকার গরু খামারি নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বাগআঁচড়া বাজার থেকে গো-খাদ্য কিনে গরুকে খাওয়ার পর গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় পশু চিকিৎক ডেকে এনে গরুকে সুস্থ্য করা হয়। এরপর আমি অন্যস্থান থেকে গো-খাদ্য এনে গরুকে খেতে দিচ্ছি।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তপু সাহা জানান, এ কাজে যে প্রতিষ্ঠান জড়িত তাদেরকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, গো-খাদ্যে ভেজাল মেশানোয় আইনগত অপরাধ। যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এএইচ
আরও পড়ুন