শার্শায় রঙিন ফুলকপি চাষে চমক
প্রকাশিত : ১১:০৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হলুদ, বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার মনজুরুল আহসান। বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি। প্রতিদিনই হলুদ, বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
তরুণ কৃষক মনজুরুল আহসান শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। শার্শা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও কর্মকর্তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথমবারের মতো এক হাজার গাছ জমিতে রোপণ করেন।
মনজুরুল আহসান বলেন, ‘আমি যখন জমিতে ফুলকপি চাষ করি তখন এলাকার অন্য চাষীরা বলছিলেন এই ফুলকপি কি বিক্রি করতে পারবো? মনে জোর ছিল যে বিক্রি হবে। সেই আশায় চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন ফুলকপি কেনার জন্য জমিতে ক্রেতারা আসছেন।
এই কপি চাষে কষ্ট কম বলে নিজেই চাষ করেছি, তাতে খরচও কম হয়েছে বলে জানান মনজুরুল।
বাহারি রঙের ফুলকপি দুটির নামও সুন্দর। গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা আর হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিনা।
এই দুই জাতের চাষের ফুলকপি চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে মনজুরুল আরও বলেন, ‘ভ্যালেন্টিনা ও ক্যারোটিনা জাতের ফুলকপি সাধারণ ফুলকপির মতোই পরিচর্যা করতে হয়। এবার পরীক্ষমূলক করলেও আগামীতে আরও বেশি চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, সাদা ফুলকপির চেয়ে এই দুই জাতের রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্যও বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, প্রথমবার শার্শায় বাহারি রঙের ফুলকপি চাষে ভালো ফলন পেয়েছে চাষীরা। এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ,সি,কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, এন্টিঅক্সিডেন্টসহ মানবদেহে উপকারী বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।
সাধারণ ফুলকপি যেখানে ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয় সেখানে রঙিন ফুলকপি এটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
এএইচ
আরও পড়ুন