শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ১৭:৫৭, ৪ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৯:২৯, ৪ মে ২০১৭
পাসের হার কিছুটা কমলেও এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশের পরপরই দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বোর্ডে মেয়েরা পাসের হারে এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছেলেরা।
পাসের দিক থেকে এবার দেশ সেরা রাজশাহী বোর্ড। তবে কমেছে জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পাসের হার ৯০.৭০। ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। ফলাফল প্রকাশের পর স্কুলগুলোয় আনন্দ-উচ্ছাস করে শিক্ষার্থীরা।
দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯৮। পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে ছেলেরা। সবেচেয়ে ভালো করেছে আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল।
সিলেটে এবছর বেড়েছে জিপিএ-ফাইভ। ৮০.২৬ শতাংশ পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে মোট ২ হাজার ৬৬৩ জন। ফলাফলে এগিয়ে আছে ছেলেরা। জিপিএ ফাইভ সবচেয়ে বেশী পেয়েছে ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ উভয়ই কমেছে। এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৯। সর্বাধিক জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার ভিত্তিতে প্রথম চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, দ্বিতীয় সরকারি মুসলিম হাই স্কুল, তৃতীয় অবস্থানে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
একই অবস্থা যশোর শিক্ষাবোর্ডে। গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ০৪ শতাংশ। এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫১ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৯৫জন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭.২৪, যা গত বছরের তুলনায় ২.১৭ ভাগ কম। তবে গত বছরের মত এবারো ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে ঝালকাঠী পাসের হারে শীর্ষে।
এবছর ফলাফলে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে কুমিল্লা বিভাগ। বিভাগে পাসের হার মাত্র ৫৯.০৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলানায় এক লাফে কমেছে ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, সবচেয়ে বেশি অকৃতকার্য হয়েছে গণিতে।
গণিত ও ইংরেজীতে বিপর্যয়ের কারণে সামগ্রিক পাসের হার কমেছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন