ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিট কাটিং ব্যবসায় মন্দা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৯, ৩ অক্টোবর ২০২০

করোনার মধ্যে ফের কারখানা চালু হলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই দেশি-বিদেশি কাঁচামালের। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারাও আসছেন না নিয়মিত। সঙ্গে আছে ব্যাংক ঋণের চাপ। ফলে দিন ভালো যাচ্ছে না কেরানীগঞ্জের শিট কাটিং খাতের ব্যবসায়ীদের। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহযোগিতা চান তারা।

বিভিন্ন মানের এসব বড় বড় জিআই কয়েল কেরানীগঞ্জে এসেছে দেশি-বিদেশি স্টিল মিল থেকে। এখানে এসব কয়েল মেশিনে কেটে টুকরো করে ঢেউটিন বা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার উপযোগী প্লেনশিটে পরিণত করা হয়। এর পর তা চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

মাত্র দুই দশকে বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী কেরানীগঞ্জে গড়ে ওঠে এই শিট কাটিংয়ের কারখানা। কয়েক মাস আগেও কারখানাগুলো খুবই ছিল ব্যস্ত। কিন্তু আমদানি বাণিজ্য পুরোপুরি সচল না হওয়ায় আসছে না বিদেশি জিআই কয়েল। দেশি কয়েলের সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। পাশাপাশি কমেছে ক্রেতাদের আনাগোনাও।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা বাণিজ্যে অনেক মন্দা যাচ্ছে। কাজকর্ম নেই, বাইরে থেকে মাল আসছে না। বিগত তিন চার মাস ধরে আমাদের বড় বড় যে ইমপোর্টারগুলো আছে তারা এলসি খুলে নাই বিধায় মাল আসছে না।

তবে বেচা-কেনা কম হলেও নিয়মিতই শোধ করতে হচ্ছে ব্যাংকের ঋণ। তারপরও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা।
 
কেরানীগঞ্জ শীট ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন সেলিম বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে দোকানদার ও ইমপোর্টাররা আমরা সবাই খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। 

সমিতির সভাপতি মাহমুদ আলম বলেন, বেচাবিক্রি কিছুটা বেড়েছে। যদি এভাবে থাকে, তাহলে আমি মনে করি আমরা চলতে পারবো।

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানালেন, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার দিকটি কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে উদ্যোগ নেয়া হবে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব সাহা বলেন, বর্তমানে তাদের সাহায্য করার ওই ভাবে কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। তারা আসলে সেটি বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবো। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেরূপ সিদ্ধান্তে দিবে আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাব।

কেরানীগঞ্জে প্রায় ১০০টি শিট কাটিং কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক।

ভিডিও-

 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি