শিল্পকলায় গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা নিয়ে স্থাপনা শিল্প
প্রকাশিত : ২১:৩৯, ২১ আগস্ট ২০১৯
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট এর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালাই তৎকালীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকার। এই নারকীয় হামলায় ২৪জন নেতাকর্মী নিহত হয়।এর মধ্য দিয়ে একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি স্বপ্ন ও বিশ্বাসকে হত্যা করবার ঘৃণিত প্রয়াস চালানো হয়েছিল যা আমাদের স্তম্ভিত করেছিলো। এই শোককে শক্তিতে পরিনত করার লক্ষে ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় নন্দনমঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে স্থাপনা শিল্প ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী ধংসযজ্ঞ’।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় ৫১জন শিল্পীর অংশগ্রহণে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা নিয়ে স্থাপনা শিল্পের কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পী ও অধ্যাপক শাহ্জাহান আহমেদ বিকাশ।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে, এম খালিদ এমপি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়া।এবং অনুভূতি ব্যক্ত করবেন শিল্পী অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
স্থাপনাশিল্পে যা তুলে ধরা হয়েছে-
ভয়ার্ত চোখ: হ্যান্ড গ্রেনেড এর মুখোসধারী ২১ জন তরুণ শিল্পী ৭০ ফিট কালো ক্যানভাসে আতঙ্কিত চোখ এঁকে তারপর তা রক্তাক্ত লাল করতে থাকবে।আতংকিত চোখ; একটি আতংকিত চোখ অংকনের ভিডিও প্রোজেকশন করা হবে পর্দায়। চিত্রকর্মটি লাইভ আঁকবে শিল্পী শাহ্জাহান আহমেদ বিকাশ। গ্রেনেড বিস্ফোরণের আতঙ্কিত অনুভূতি; বিস্ফোরণের শব্দ হবে এবং ধোঁয়ায় পুরো প্রদর্শনিস্থল ভরে উঠবে।দর্শকদের সাময়িকভাবে ঐ মুহুর্তটুকু অনুভব করানোর জন্য কৃত্রিম রক্ত,পাদুকাসহ অন্যান্য বস্তু ছুড়ে দেওয়া হবে।
আতংক: প্রজেক্টরের মাধ্যমে ২১শে আগস্টের আতংকিত মুহুর্তগুলো প্রদর্শন করা হবে । ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ ২১টি স্থিরচিত্রের প্রদর্শন করা হবে।
পারফর্মেন্স আর্ট: ২১ শে আগষ্টের সেই গ্রেনেড হামলার ভয়ানক মুহুর্তটি নন্দন মঞ্চে পার্ফরমেন্স আর্ট এর মাধ্যমে ২১ জন শিল্পী প্রদর্শন করবে। মঞ্চের চারপাশের চৌবাচ্চাটুকু ধীরে ধীরে লাল রক্ত বর্ণে পরিণত হবে।
আতংক বেদনা: ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট জন নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেদনাময় মুখাবয়বের প্রতিকৃতি আঁকা হবে।
দর্শক সম্মুখে অঙ্কিত হবে প্রতিকৃতিটি।চিত্রকর্ম সমাপ্ত হবার পর স্পট লাইট দিয়ে দর্শক সম্মুখে চিত্রকর্মটি উন্মোচন করা হবে বা প্রকাশ করা হবে এবং ২১শে আগস্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বক্তব্য অডিওতে শোনা যাবে।
কেআই/
আরও পড়ুন