শিশু মুনতাহার লাশ পুকুরে ফেলতে এসে হাতেনাতে আটক
প্রকাশিত : ১১:০৭, ১০ নভেম্বর ২০২৪
কানাইঘাটে নিখোঁজের সাত দিন পর শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ির পুকুরে মুনতাহার লাশ ফেলে দেয়ার সময় লোকজন দেখতে পেয়ে হাতেনাতে আটক করে এক নারীকে।
রোববার ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
মুনতাহা আক্তার জেরিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, ‘আমার শিশু কন্যাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছিলাম। আজ ভোরে বাড়ির পাশে মুনতাহার লাশ বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়ার সময় লোকজন দেখতে পেয়ে হাতেনাতে আটক করে মার্জিয়ার মাকে।’
জানা যায়, মার্জিয়াকে কানাইঘাট থানা পুলিশ আটকের পরপরই মার্জিয়ার মা আলিফজান বেগম মুনতাহার লাশ একটি গর্ত থেকে তুলে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে লাশ ফেলে দিতে চায়। তখন স্থানীয়রা দেখে ফেলে হাতেনাতে আটক করে আলিফজান বেগমকে।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আওয়াল সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার ভোর ৪টার দিকে নিজ বাড়ির পুকুরে মুনতাহার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখে বুঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। খেলার সাথীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
সে সময় ছোট্ট শিশু মুনতাহার সন্ধানদাতাদের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন অনেকেই। মুনতাহার সন্ধান এবং ‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কয়েকজন প্রবাসী।
এএইচ
আরও পড়ুন