ঢাকা, রবিবার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

শিশু শিল্পী পিয়া’র আন্তর্জাতিক সাফল্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ৬ এপ্রিল ২০২১

জায়না আলম পিয়া। ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দেশের সীমানা ডিঙিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উঠে এসেছে তার নাম। করোনার অবরুদ্ধ সময়ে ‘লেট আস ফাইট এগেইনস্ট কোভিড-১৯ টুগেদার’ শিরোনামে তার আঁকা ছবি স্থান পায় ইউনিসেফের ফেসবুক পেজে। আর এই ছবির জন্য সংস্থাটি তাকে ২০২০ সালের ইউনিসেফ সুপারস্টার ঘোষণা করে। 

ইউএনএচসিআর-ও ছবিটি তাদের টুইটার একাউন্টে প্রকাশ করে। জলরঙের সঙ্গে এক্রেলিক মাধ্যমের সংমিশ্রণে আঁকা ছবিটি নির্বাচিত হয় ‘হ্যাশট্যাগ কিডস পেইন্ট করোনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। যা যৌথভাবে আয়োজন করে জার্মানির জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সাময়িকী ‘দাই জিট’ এবং নরওয়ের অসলো’র দ্যা ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অব চিলড্রেন্স আর্ট। বিশ্বের ৬৪টি দেশের শিশুশিল্পীদের সাড়ে ৫ হাজার চিত্রকর্ম থেকে ১০০টি ছবি নির্বাচিত হয়। আর এই চূড়ান্ত মনোনয়নে বাংলাদেশের একমাত্র শিশুশিল্পী হিসেবে জায়গা পায় পিয়া’র আঁকা ছবিটি। 

নেদারল্য্যান্ড ও জার্মানিতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যা রিমেমব্র্যান্স’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীতে জায়না আলম পিয়া’র আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থান পায়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নামকরা গুণী চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে পিয়ার সুযোগ পাওয়াটা ছিল আরেক সাফল্য। 

উল্লে­খ্য, এই প্রদর্শনীতে একমাত্র পিয়াই ছিল শিশুশিল্পী এবং তার আঁকা ছবিটি দিয়েই প্রদর্শনীর স্মারক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ করা হয়। বর্তমানে তাঁর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি জার্মানির একটি আর্ট মিউজিয়ামে স্থায়ীভাবে আছে।

এছাড়া বিশ্বখ্যাত ‘পিকাসো ইন্টারন্যাশনাল আর্ট কন্টেস্ট’-এ জলরঙে প্রিন্সেস ডায়ানার ছবি এঁকে পিয়া জিতে নেয় সেরার পুরস্কার। সবমিলিয়ে ২০২০ সালে শিশু শিল্পী জায়না আলম পিয়া ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয় করে। এমন সাফল্যের পেছনে বাবা মনিরুল আলম ও মা সোমা আলমের অনুপ্রেরণার কথা জানায় পিয়া।

পিয়া ভালোবাসে হিউম্যান পোর্ট্রেট ও ল্যান্ডস্কেপ আঁকতেই। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে জলরঙ, পেন স্কেচ এবং পেনসিল স্কেচ করতেই বেশি পছন্দ তার। ছবি আঁকাটা পিয়া’র কাছে এখন ডায়েরি লেখার মতো একটা নেশা।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি