শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায়
প্রকাশিত : ১৫:১১, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১৫:১৩, ১২ জানুয়ারি ২০২৪
ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। রাত থেকে শুরু করে সকাল ১০টা পর্যন্ত পড়েছে বৃষ্টির মতো শিশির।
আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০% এবং দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার। সকাল ৯টায় ছিল বাতাসের আদ্রতা ৯৮% এবং দৃষ্টি সীমা ৯০০ মিটার।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
কুয়াশার কারণে কৃষকদের বোরো ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত রক্ষায় বিশেষভাবে সতর্কতা করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ভোর থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
এর আগে গতকাল ১১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬%.। এদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমল ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের গাড়াবাড়িয়া গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে আসা আজগর আলী নামে এক দিনমজুর বলেন, প্রতিদিন ভোরে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজারে আসি। সেখান থেকে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি। আজ ভোরে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছিল। একদিন কাজ না করলে সংসার চলবেনা। তাই বাধ্য হয়েই কাজে যেতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র শীতে গত সাতদিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় দুই হাজার রোগী ঠাণ্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া রোটাভাইরাস জনিত কারণে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। কাঁচা খেজুর রস না খাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. রকিবুল হাসান বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা এবং কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এএইচ
আরও পড়ুন