শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ইফতেখারুল আলমের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই- এর সাবেক সভাপতি ও শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ইফতেখারুল আলম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।    

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।     

ইফতেখারুল আলম এফবিসিসিআই ছাড়াও মেট্রোপলিটন চেম্বার, এমপ্লয়ার্স এসোসিয়েশন, ফিল্ম প্রযোজক সমিতি, রোটারী গভর্নর এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।  

তিনি রোটারীর গভর্নর হিসেবে সারাদেশে ব্যাপক সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।

রোটারী গভর্নর এএফএম আলমগীর, গভর্নর (নির্বাচিত) খায়রুল আলম, গভর্নর নমিনি মো. রুবাইয়াত হোসেন মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। 

রোববার বাদ যোহর গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজে জানাজার পর বনানী গোরস্তানে তার লাশ দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি পুত্র বধু ২ নাতনী এবং আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।    

ইফতেখারুল আলম এ দেশের অগ্রগতির জন্য ব্যবসার ক্ষেত্রে যেমন অবদান রেখেছেন তেমনি শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও রয়েছে অবদান।    

তিনি ১৯৬৪ সালে জহির রায়হানের পরিচালনায় এবং তার প্রযোজনায় নির্মিত হয় তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম রঙিন সিনেমা ‘সঙ্গম’। ষাটের দশক থেকেই নামি দামি পরিচালক ও তারকা শিল্পীরা তার প্রযোজনায় কাজ করেছেন। কিংবদন্তি প্রযোজক ইফতেখারুল আলম অভিনেতা আহমেদ শরীফের ফুফা।

চলচ্চিত্র জগতের মানুষদের কাছে তিনি ইফতেখারুল আলম কিসলু নামে পরিচিত। মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন এই প্রযোজক ও ব্যবসায়ী নেতা।   

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে রাজ্জাক-সুচন্দা জুটির প্রথম সিনেমা ‘বেহুলা’ও নির্মিত হয় তার প্রযোজনায়। স্বাধীনতার পর প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ ও নির্মিত হয় তার প্রযোজনায়।

এছাড়া তিনি ‘আনোয়ারা’, ‘আলিবাবা’ ও ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সংসার’র মতো অসংখ্য সিনেমা প্রযোজনা করেছেন।

এসএ/