শুকরিয়া হবে যথাযথ মানের
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ২৭ মে ২০১৯
প্রশংসা শুধু স্রষ্টার উদ্দেশে নিবেদিত হতে হবে এবং স্রষ্টার প্রতি প্রশংসাকে ভাগ করে তা অন্য কাউকে দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ স্রষ্টার সঙ্গে শরীক করা যাবে না। তাই শুকরিয়া হতে হবে যথাযথ মানের।
আমরা ঐশ্বরিয়া রাই, শাহরুখ খান, জন আব্রাহাম, ব্রুকশিল্ড, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে দেখে তাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যাই। অথচ আমরা একথা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই যে, কোন মানুষের সৌন্দর্য মহান স্রষ্টার কলাকূশলতায় মায়ের ডিম্বাণু আর বাবার শুক্রাণুর ক্রমোজমের সূক্ষ্ম বিনিময়ের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে। তাই মানুষের সমস্ত দৈহিক সৌন্দর্য ও দৈহিক গঠনের কৃতিত্ব আল্লাহরই প্রাপ্য।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন, ‘বলুন সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। তার সার্বভৌমত্বে কোনো অংশীদার নেই এবং তার কোনো দুর্বলতা নেই যে তার কোনো সাহায্যকারী প্রয়োজন হতে পারে। তার মাহাত্ম্য বা সম্ভ্রম বর্ণনা করতে থাকুন।’ (সূরা বনি ইসরাইল ২৭/১১১)।
‘তিনি চিরঞ্জীব। তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তাই তার আনুগত্যে বিশুদ্ধ চিত্ত হয়ে তাকেই ডাকো। সব প্রশংসা বিশ্বজগতের রব আল্লাহরই।’ (সূরা মুমিন ৪০/৬৫)
তাই যখনই কেউ আপনার প্রশংসা করে তখন পুরো কৃতিত্বকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দিয়ে বলুন ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। সবই তার কৃপা। তিনি তৌফিক না দিলে আমার পক্ষে এত বড় কাজ করা সম্ভব হতো না।’ তারপর আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনাই করুন যা আমাদের মহানবী (সা.) করেছিলেন।
‘হে আল্লাহ, যা বলা হচ্ছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করো না, আমাকে ক্ষমা করো। আমাকে কল্যাণ দাও, যা তারা ধারণা করছে।’ (বুখারী/আল আদাবুল মুফরাদ)
অর্থাৎ আপনার উপর আরোপিত সমস্ত প্রশংসা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন আর আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করুন, যাতে তিনি অহম থেকে আপনাকে মুক্ত রাখেন।
সাধারণ মানুষ সমস্ত নিয়ামত আল্লাহর পক্ষ থেকে তা অনুধাবন করতে পারে না তাই নিয়ামতের মাধ্যমকে নিয়ামতদাতা মনে করে কৃতজ্ঞতার ঝুড়ি খালি করে দেয়।
যখনই কোনো মানুষের কৃতিত্বের প্রশংসা করা হয় তখন অবশ্যই নেপথ্যে ক্রিয়াশীল স্রষ্টার কলাকুশলতা ও তার অনুগ্রহকে স্বীকৃতি দিতে হবে। স্রষ্টার শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
(শোকরিয়া। প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ গ্রন্থ)
এএইচ/