শুক্র ও শনিবারও জাবিতে ধর্মঘট
প্রকাশিত : ১৯:০৭, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। টানা চতুর্থ দিনেরমত ধর্মঘট কর্মসূচির ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক উইকেন্ড প্রোগ্রামও ধর্মঘটের আওতায় থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এছাড়া উপাচার্যের দুর্নীতির প্রতিবাদে ব্যঙ্গাত্মক ক্যানভাস র্যালি করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। এদিকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা সহকারী প্রক্টর আহতের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার ছিল ধর্মঘটের চতুর্থ ও প্রশানিক ভবন অবরোধের ষষ্ঠ দিন। দিনব্যাপী ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন ছিল অবরুদ্ধ। তবে আন্দোলনকারীদের পূব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন তোলার জন্য খোলা ছিল শুধু একাউন্টস অফিস।
দিনব্যাপী অবরোধ ও ধর্মঘট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আজও অবরোধ ও ধর্মঘট পালিত হয়েছে। সবধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে বেতন তোলার জন্য দুই ঘণ্টা খোলা ছিল একাউন্টস অফিস। আর অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাও ধর্মঘটের সমর্থনে ক্লাস-পরীক্ষায় আসেনি। তবে কয়েকটি বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক উইকেন্ড প্রোগ্রামও ধর্মঘটের আওতায় থাকবে।
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আন্দোলনকারীরা নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। আর শুক্রবার ও শনিবার উইকেন্ড প্রোগ্রামের ধর্মঘটের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্ধারিত বিভাগগুলো সিদ্ধান্ত নিবে। তবে তারা যদি আমাদের কাছে সহযোগীতা চায় আমরা করব।
আরকে//
আরও পড়ুন