শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপিত বেনেট বাঁচতে পারলেন না
প্রকাশিত : ১০:৪৯, ১০ মার্চ ২০২২
পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো মানুষের মধ্যে শূকরের হৃদপিণ্ড বসানোর মধ্য দিয়ে আলোচনায় এসেছিলো মার্কিন নাগরিক ডেভিড বেনেট। দুই মাস আগে বেনেটের দেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল জেনেটিক্যালি মডিফাই করা শূকরের হৃদপিণ্ড। কিন্তু দুইমাস না পেরোতেই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বেনেটের শারীরিক অবস্থার অবনতির দিকে যাচ্ছিল। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
বিবিসি সুত্রে জানা যায়, এই বছরের জানুয়ারিতে বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে ৫৭ বছর বয়সি ডেভিড বেনেটের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে হৃৎপিণ্ডটি প্রতিস্থাপন করেছিলেন চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের আগেরদিন বেনেট নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে বলেছিলেন যে, “বিষয়টা এমন হয় মরতে হবে নয়তো প্রতিস্থাপন করতে হবে। আমি জানি, এটা হচ্ছে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া, কিন্তু এটাই আমার শেষ ভরসা।”
ডেভিড বেনেটের শরীরে শূকরের এই হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেছেন ড. বার্টলে গ্রিফিথ। যদিও চিকিৎসকরা প্রতিস্থাপন করা হৃৎপিণ্ড নিয়ে বেনেটের আয়ু কেমন হবে তা নিয়ে আগে থেকে কোন ধারণা দিতে সক্ষম হয়নি। তখন তারা জানিয়েছিলেন, তিনি কতটা সময় বাঁচবেন- একদিন, সপ্তাহ, মাস, নাকি বছর তা আমরা জানি না।
তবে এই পরীক্ষা সঙ্কট সমাধানের খুব কাছে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেছিলেন চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছিলেন, হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে অনেক মানুষ ভুগছেন। তাদের মধ্যে অসংখ্য মানুষ আছেন, যাদের হৃদযন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিস্থাপন জরুরি। তাদের জন্য দাতাও পাওয়া যায় না।
সুত্র: বিবিসি
আরএমএ/ এসএ/