শেখ সাদীর বিখ্যাত ১৩টি উপদেশ
প্রকাশিত : ১৩:১১, ১৪ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৪:২৯, ১৪ আগস্ট ২০১৯
পারস্যের মহাকবি শেখ সাদী (রহ.) তার পুরো নাম আবু মুহাম্মদ মোশাররফ উদ্দিন বিন মোসলেহ উদ্দিন আবদুল্লাহ সাদি সিরাজি। তিনি ইরানের সুপ্রসিদ্ধ ‘সিরাজ’ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। সে দেশের রাজদরবারে সাদির বাবা চাকরি করতেন। সাদির বাবার নাম সৈয়দ আবদুল্লাহ।
মায়ের নাম মাইমুরা খাতুন। কৈশরের আগেই কবির বাবা মারা যান। এ কারণে কবির ছেলেবেলা কেটেছিল অনেক কষ্টে। তার মা তাকে নিয়ে বড় কঠিন বিপদে পড়ে যান।
শেষমেশ রক্ষণাবেক্ষণের ভার অর্পিত হয় তার নানার ওপর। কিন্তু নানার অবস্থাও সচ্ছল ছিল না। এদিকে স্বভাবকবি বলেই সাদির জ্ঞান, তৃষ্ণাও ছিল প্রবল। মা ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলেন ছেলেকে কীভাবে মানুষ করবেন। এতিম সাদিকে নিয়ে তার মা কতটা কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন তা কবি নিজেই বর্ণনা করেছেন। উঠতি যৌবনে বেপরোয়া সময়টাতে একদিন মূর্খতাবশত মায়ের সামনে চিৎকার করে উঠলে মা ব্যথিত হৃদয় নিয়ে ঘরের কোণে
কল্যাণমূলক ও শিক্ষনীয় অসংখ্য রেখা লিখে গেছেন। তার সেসব উপদেশমালা আজো সবার কাছে সমান গুরুত্ব বহন করে। এর মধ্য থেকে এখানে এমন ১৩টি বিখ্যাত উপদেশ বানী তুলে ধরা হল, যা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে।
>> অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা সবাই জানলে কেউ অজ্ঞ হতো না।
>> অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।
>> আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তার পরেই ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।
>> মানুষ এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেঁচেই ছিল না।
>> হিংস্র বাঘের ওপর দয়া করা নিরীহ হরিণের ওপর জুলুম করার নামান্তর।
>> যে সৎ, নিন্দা তার কোনো অনিষ্ট করতে পারে না।
>> প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
>> দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বল, কারণ তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।
>> মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মতো, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।
>> মন্দ লোকের সঙ্গে যার ওঠাবসা, সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না।
>> দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বল, যেন তারা মিলে গেলেও তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।
>> বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না।
>> পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও।
টিআর/
আরও পড়ুন