ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না: পরশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২৩:৩৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা'র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।

সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে আমরা আজ একটা মানচিত্র পেতাম না, একটা পতাকা পেতাম না, জাতীয় সংগীত পেতাম না; শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায়বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না এবং একটা মর্যাদাশীল দেশ পেতাম না। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার করার সংগ্রামের নেমেছিলেন। সকল দুঃখ-কষ্ট বুকে নিয়ে রাত-দিন সংগঠনের পিছনে সময় দিতেন। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি সমগ্র দেশ সফর করে বেরিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং জাতির পিতার হত্যার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করতে হয়েছে। পুড়ে পুড়ে খাটি হয়েছেন তিনি। তার জীবনের সংগ্রাম এবং স্বজন হারানোর অভিজ্ঞতা তাকে শুধু একজন ত্যাগী জননেত্রী হিসেবেই সৃষ্টি করেনি, বিশ্বের একজন অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

বিএনপি-জামাতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত এসে দেশে কী করেছে? জঙ্গিবাদের উত্থান, বারংবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, কৃষকের ওপর অত্যাচার, সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার, সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের ওপর অত্যাচার, রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দয়ে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি, মৌলবাদের উত্থান থেকে শুরু করে নৌকার ভোটারদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অতিহাস কারো অজানা নয়।

জাতিসংঘে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র ভাষণ প্রসঙ্গই তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাম্যের কথা, অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা এবং সামাজিক অবিচারের কথা। বৈশ্বিক অঙ্গীকারের উদাহরণস্বরূপ তিনি টিকার ন্যায্য হিসসা এবং ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবিচারের কথা বলেছেন। একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ আজ দ্রুত বর্ধমান পাঁচটি অঅর্থনৈতিক দেশের মধ্যে একটি। বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি কয়েকটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-টিকা বৈষম্য দূরীকরণ, সবার জন্য ন্যায়সংগত ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা পাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা, প্রবাসী ও অধিবাসীদের অধিকারের কথা, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দুই প্রজন্ম ধরে এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিথিক্ষা করে যাচ্ছেন। তার কাছ থেকে আমাদের প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। এ দেশের যুবসমাজ জননেত্রী শেখ হাসিনা'র দেখানো পথে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সর্বদা সচেষ্ঠ থাকবে।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বিএনপি-জামাত এদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তারা যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদকে অপমান করেছিল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামাতের সকল অপশক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মুকিত চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের শাহাজাদা, উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ সহ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি