শেখ হাসিনাকে বরণ করতে প্রস্তুত যশোর
প্রকাশিত : ১৩:৪৩, ২৩ নভেম্বর ২০২২
পাঁচ বছর পর আবারো যশোর যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নামছেন তিনি। বৃহস্পতিবার যশোরের শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হবে তার প্রচারণা কার্যক্রম।
বিশাল এ জনসভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার যশোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন সরকার প্রধান।
মূলত সরকারের উন্নয়নের খবর তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াসহ আগামীর উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরবেন শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে জনসভার সব ধরনের প্রস্তুতি।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যশোরের জনসভাটি আওয়ামী লীগের স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় রূপ নেবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৭ মাস পর জনগণের সঙ্গে সরাসরি কোনো জনসমুদ্রে উপস্থিত হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর ঘিরে পুরো শহরকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জনসভা উপলক্ষে ইতোমধ্যে পোস্টারিং, মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চলছে। সভা-সমাবেশের বাইরে সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভা সফল করতে প্রতিনিয়ত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মূল দল ছাড়াও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জনসভা সফলের লক্ষ্যে বিশেষ প্রস্তুতি সভা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া-আসার রাস্তা বাদ রেখে শহরের অন্যান্য সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। জনসভা ঘিরে শহরজুড়ে নিজেদের প্রচারণার ব্যানার কমিটি ছাড়াও পোস্টার করেছেন স্থানীয় নেতারা।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ এস এম হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন, এবারের জনসভা সফল করতে ৫ লাখ নেতাকর্মী সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
জনসভা নির্বিঘ্ন করতে জনসভাস্থলসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার স্তরের ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দলীয় ফোরামের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, এখন থেকে দলকে আরও বেশি সময় দেবেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রথম জনসভা হবে যশোর স্টেডিয়ামে। এই জনসভায় ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই মাঠে ৫০ বছর পর জনসভায় ভাষণ দেবেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
এসএ/
আরও পড়ুন