শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৪, ১১ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৪৯, ১১ জুন ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের এদিন সংসদ চত্বরের বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
সেনা সমর্থিত এক এগারোর সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপোষহীন মনোভাব আর জনগনের অনঢ় দাবিতে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার।
গণতন্ত্র আর ভোটের অধিকার রক্ষায় দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার দাবিতে ২০০৬ সালে আবারো রাজপথে আওয়ামী লীগ। জনদাবি মানতে নারাজ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হলেন জোট সরকারের রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন। উত্তাল আন্দোলন। এমনি সুযোগে দৃশ্যপটে এক এগারোর সরকার।
গনতান্ত্রিক ধারাকে রুদ্ধ করে সেই সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছিল বঙ্গভবনে। একই সাথে চলে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নীল নকশার নির্বাচন আয়োজন। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের।
গড়ে ওঠে গণ আন্দোলন। পদত্যাগে বাধ্য হন ইয়াজউদ্দিন। দৃশ্যপটে ফখরুদ্দিন। নেপথ্যে মঈনউদ্দিন।
মাইনাস টু ফর্মুলার অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ হাসিনাকে। জনরোষের ভয়ে কারাগারে না রেখে জাতীয়
অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেবার দাবী ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। বঙ্গবন্ধু কন্যার আপোষহীন দৃঢ়তা আর জনদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
২০০৯ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে জনরায় আসে আওয়ামী লীগের পক্ষে। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে।
পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার শুধু গণতন্ত্র সুরক্ষাই করেনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেক দূর। বাংলাদেশ পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা।
বাংলাদেশ আজ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। সমুদ্রসীমা নিশ্চিত থেকে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট। বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুও দৃশ্যমান। এগিয়ে চলছে মেট্রোরেল প্রকল্প। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও।
আরও পড়ুন