শেখ হাসিনার হাতেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২১:৪৩, ২০ মে ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৯, ২০ মে ২০১৮
একাত্তরে স্বাধীনতার পর উন্নত দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করেছিলেন তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এমডিজি লক্ষ্য অর্জন, মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর কিংবা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি অর্জনের দৌঁড়েও এগিয়ে বাংলাদেশ নামের ছোট্ট লাল সবুজের মানচিত্রটি। দারিদ্র্যের শেকল ভেঙে সম্ভাবনার এই দেশটি আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের প্ল্যাটফর্মেও এগিয়ে। কর্মসংস্থান তৈরি, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট বা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়ও দিয়েছে বাংলাদেশ। যাদের পেছনে প্রতিবছর বাংলাদেশকে গুণতে হচ্ছে বাজেটের বাড়তি অর্থ। পাশাপাশি দেশের সামাজিক নিরাপত্তা সূচকের প্রতিটিতেই অগ্রগতিও সাধিত হয়েছে। এসব অর্জনের পেছনের রহস্য একজন বিচক্ষণ রাজনীতিকের যোগ্য নেতৃত্ব। তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু তনয়া, দেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য বদলের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি অর্জন সমাদৃত বিশ্বব্যাপীও। তাই তো বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের স্বীকৃতি যেমন এসেছে জাতিসংঘ থেকে। তেমনি এর পুরোধা নেতৃত্বের সাফল্য গাঁথার স্বীকৃতিও আসছে নানা দেশ ও বিশ্বজনীন নানা প্রতিষ্ঠান থেকে।
এর সবশেষটি গ্লোবাল উইমেনস লিডারশীপ। নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানজনক ‘ গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সিডনিতে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশসহ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের বিষয়ে শেখ হাসিনার অনবদ্য নেতৃৃত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন এই পুরস্কার দেয়। এর অর্থ সহজেই বলা যায়, একটি ভূ‚-অঞ্চলের নারীর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রেখে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
যদিও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন নয়। গত আট বছর এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর আগেও ২৭টি পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন গণতন্ত্রের এই ধারক। তিনি সফল নেতা আর সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি বিশ্ব অধ্যায়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রাপ্তি। এ পুরস্কারগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনা চারটি পেয়েছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে। এর মধ্যে আছে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি করায় ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক হাটপাওয়েট- বোজনি পুরস্কার, শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে ২০১০ সালে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য পরের বছর সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পাওয়া চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার। সবশেষ সংযোজন এই গ্লোবাল উইম্যান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড। এই পুরস্কারটি বিশ্বব্যাপী যে নারীরা বিশ্বকে পরিবর্তন করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করছেন তাদেরকে উৎসর্গও করেন তিনি। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে একটি সুষ্ঠু, অধিকারভিত্তিক, লিঙ্গ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণের অনন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা। অতীতের কোনো সরকার তাঁর মতো বাংলাদেশের রাজনীতিক ইতিহাসে ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিক ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারীর মূল্যায়নে এমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তিনি যতবার ক্ষমতায় এসেছেন নারীর ক্ষমতায়নে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সিডনিতে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নেওয়ার আয়োজনে গিয়ে তিনি নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। একই সাথে এই অ্যাওয়ার্ড সেই সব নারীদের উৎসর্গ করেছেন, যে নারীরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেদের ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। পুরস্কার গ্রহণ করার পর তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ৪ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। নারী অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি একটি জোট গঠনেরও তাগিদ দেন। নারী ক্ষমতায়ন এবং নারী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে তুলে ধরা প্রস্তাবনায় রয়েছে নারীর সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত একমুখী ধারণা পরিহার করা। প্রান্তিক ও ঝুঁকির মুখে থাকা নারীরা এখনো কম খাদ্য পাচ্ছে, স্কুলে যেতে পারছে না, কম মজুরিতে কাজ করছে এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। যা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার দাবি। কারণ, উন্নয়ন যাত্রায় কোনো নারীকেই পেছনে রাখা উচিত নয়। তৃতীয়ত, নারীদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করা। আর চতুর্থত, জীবন ও জীবিকার সব ক্ষেত্রে নারীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ১৫৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম- সে দিনের বক্তব্যে এ বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদক নেয়ার সময় বঙ্গবন্ধু তনয়া ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কবল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের কথা স্বরণ করিয়ে দেন। তুলে ধরেন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নারীদের অবদানও। মুক্তিযুদ্ধে দুই লক্ষ সম্মান হারানো নারীদের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের জন্য ‘পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি তাদেরকে বীরাঙ্গনা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের সংবিধানে নারী পুরুষের সমতার কথাও তুলে ধরেছেন উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এই মহাপথিক। নিজের জীবনের সংগ্রামের কথা এবং নিজ দেশের স্বার্থে দলকে সংগঠিত করে সার্বিক উন্নয়নের শুরুর কথাও উল্লেখ করেন অন্যদের অনুপ্রেরণার জন্য। তাঁর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় ১৯৭৫ সালে পিতাসহ পরিবারের ১৮ সদস্যকে খুন করা হয়। সে সময়েরও ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরতে পারেন তিনি। এরপর বাঙালি এক নারী পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে দুঃসহ স্মৃতির রক্তক্ষরণকে জয় করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। লড়াই করছেন শুধু গণতন্ত্রের জন্যই নয়, সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেই। যাতে প্রতিষ্ঠা পায় শান্তি ও মানবতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে ইতোমধ্যে ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এই সাফল্যের দিকে তাকালেই আমরা বিশ্বাস করতে পারি যে, এই পরিকল্পনাও তাঁর মাধ্যমেই সম্ভব। কারণ, তিনি শান্তি ও মানবতার অগ্রদূত হিসেবে আজ বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও প্রশংসিত একটি নাম। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ও নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি এখন বিশ্ব মিডিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব।
একটি দেশের উন্নয়নে দরকার বিপুল অর্থের যোগান। পদ্মাসেতুসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পেই কখনো সখনো বিশ^ সম্প্রদায় বা উন্নয়ন সংস্থাগুলো প্রত্যাশিত সহযোগিতা করতে গড়িমসি করেছে। কিন্তু দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে এসবকে থোড়াই কেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একক সিদ্ধান্ত ও কঠোর দৃঢ়তায় নিয়েছেন উন্নয়নের বড় সব মেগাপ্রকল্প। সড়ক যোগাযোগের অন্যতম নেটওয়ার্ক হলো সেতু। নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার একক উদ্যোগের কারণেই পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন করছে বাংলাদেশ। তাঁর সাফল্যের ভান্ডারে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মহাকাশ জয়ের সাফল্য। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এখন মহাকাশে। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই, যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এ ছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসহ আরো কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের প্রথম ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। দেশের আইটি খাতের নতুন সম্ভাবনা যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের শাসন আমলেই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী ১০ নারী নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। একজন জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা সবসময় নিজেকে দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার কাজে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। টানা দুই মেয়াদের ক্ষমতায় বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ সত্তে¡ও শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শেষে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এই বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছরে ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করছে। ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমছে। ই-টেন্ডারিং, ই-জিপির ফলে দুর্নীতি কমছে। ১০ টাকায় কৃষক ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার ঘটনাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদাহরণ হিসেবে কাজে লাগছে। বাংলাদেশের সাফল্য গাঁথায় এমন ঘটনা অজস্র, অসংখ্য। কাজেই বলা যেতে পারে, শেখ হাসিনার দৃঢ় ও অবিচল নেত্বত্বেই এগিয়ে চলছে দেশ। চার দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের মত আলো ছড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের স্থপতি শেখ হাসিনা। তাঁর নেত্বত্বে আগামীতে দেশ এগিয়ে যাবে, সামিল হবে উন্নত দেশের কাতারে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এই মুহর্তে তাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধতার আলো ছড়াক বাংলাদেশ, দীর্ঘজীবী হোন এই নেতৃত্বের ক্যাপ্টেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লেখক: ভাইস প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই
ইমেইল : muntakim.tito@gmail.com
টিকে
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।