শেরপুরের গারো পাহাড়ে বইছে তীর্থ উৎসবের আমেজ
প্রকাশিত : ২২:০১, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
শেরপুর সীমান্তের সাধু লিওর ধর্মপল্লী। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা রানীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা। ভারত সীমান্ত ঘেঁষা বারোমারীতে সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ।
প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব। শুধু শেরপুর নয় দেশ-বিদেশের প্রায় লাখো পূণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।
করোনার ধকল কাটিয়ে এবারও মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। প্রায় একমাস আগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হলেও এখন চলছে আলোকসজ্জাসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ইতোমধ্যে অনেক যুবক-যুবতীরা শেষ করেছে যার দায়িত্বের কাজ। শতভাগের ৯৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত। বাকি ৫ ভাগ কাজ আজকের মধ্যে শেষ হবে। তীর্থ উৎসবের মূল আকর্ষণ হচ্ছে আলোক শোভাযাত্রা। এছাড়াও খ্রিষ্টযাগ, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহাখ্রিষ্টযাগ, প্রার্থণাসহ নানা অনুষ্ঠান।
এবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের মেঘালয় ও তোরা প্রদেশের পাল পুরোহিত ফাদার টমাস মানখিন।
প্রতি বছরই এই তীর্থকে ঘিরে নানা আয়োজন হয়। দূর দূরান্ত থেকে যে সকল তীর্থ যাত্রিরা আসবে তাদের আবাসনের ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু তীর্থ পালনের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বারোমরী খ্রিষ্টান মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী জানান, প্রতি বছরই এই তীর্থ পালনে একটি মূল সুর থাকে। এবারের মূল সুর হচ্ছে "মিলন অংশগ্রহণ ও প্রেরণা কর্মে ফাতেমা রানী মা ফাতেমা।"
এদিকে এই তীর্থ উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে চার স্তর বিশিষ্ট নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারোমারীর এই ধর্মপল্লীটিকে ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থস্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন