শেষ কার্যদিবসে ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড়
প্রকাশিত : ২৩:৩০, ২০ আগস্ট ২০১৮
আগামী বুধবার ঈদুল আযহা। ঈদের আগে আজ সোমবার ছিল শেষ কর্মদিবস। তাই রাজধানীতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রত্যেকটি শাখায় ঈদের খরচ ও কোরবানির পশু কেনার টাকা তোলার হিড়িক ছিল গ্রাহকদের।
অনেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা তুলেছেন। একই সঙ্গে এটিএম বুথগুলোতেও গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখা এবং এটিএম বুথে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। এবার সপ্তাহিক ছুটিসহ টানা পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এ কারণে অনেক গ্রাহকই তাদের প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে এসেছিলেন। এর মধ্যে অনেকেই এসেছিলেন নতুন টাকা নিতে। তবে শুধু টাকা তোলার জন্য নয়,অনেক গ্রাহক টাকা জমা দিয়েছেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের স্টক এক্সচেঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম স্বপন গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের আগে আজ শেষ কার্যদিবস। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি লেনদেন হয়েছে।
সকাল থেকে গ্রাহকের ভিড় ছিল। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খেয়েছেন।
তিনি বলেন, এবার নগদ টাকার সমস্যা নেই। তাই লেনদেনেও কোনো সমস্যা হয়নি। গ্রাহকের চাহিদা মতো পরিশোধ করা হয়েছে। সাধারণ লেনদেনের পাশাপাশি গ্রাহকরা নতুন টাকা বিনিময় করেছেন।
গ্রাহদের চাহিদা মেটাতে বিকেল চারটার পরেও ব্যাংকের লেনদেন চলেছে বলে তিনি জানান।
ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও কোরবানীর পশু কেনার কারণে নগদ টাকার বিপুল চাহিদা ছিল। তাই চাপ সামলাতে অনেক ব্যাংককে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি মার্কেট) থেকে নগদ টাকা ধার নিতে হয়েছে। তবে পরিমাণের দিক থেকে কলমানির চাহিদা বাড়লেও সুদ হার বাড়েনি।
কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত কলমানি মার্কেটে প্রতিদিন লেনদেন বেড়েছে। এ সময়ে কলমানি মার্কেটে ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ হিসাবে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৫ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ব্যাংক টু ব্যাংকের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংক টু ব্যাংকের গড় কলমানির গড় সুদহার ছিল ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গড় সুদহার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, কোরবানির পশু কেনাসহ বাড়তি কেনাকাটায় নগট টাকা তুলতে ব্যাংকগুলোতে ভিড় ছিল। ঈদের সময় লেনদেন বেড়ে যায়। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট নেই।
তথ্যসূত্র: বাসস।
এমএইচ/ এসএইচ/
আরও পড়ুন