শেষ মুহূর্তে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে গরু
প্রকাশিত : ১৯:৩৫, ১১ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৪০, ১১ আগস্ট ২০১৯
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ দিনেও রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাটে আসছে গরু। গত কয়েকদিনের তুলনায় শেষ দিনে পশুর দাম অনেকটা কম। রোদের খরতাপ আর শেষ দিন দেখেই শেষ মুহূর্তে সস্তায় গরু ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এক বিক্রেতা বলেন, কোরবানির পশুর হাটে শেষ দিনে দাম তেমন পাচ্ছি না। গরু অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় এবং বাড়ি ফেরার তাড়া থাকায় বাধ্য হয়েই কম দামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছি।
পশু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের অভিযোগ,গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ দাম পড়ে গেছে। তারা কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশি মুনাফার আশায় গরু ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় রোববার সকাল থেকে গরুর দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাট ভর্তি গরু থাকলেও গত দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে ক্রেতা অনেক কম। তবুও চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষি। আর শেষ মুহূর্তের ঝুঁকি না নিয়ে অল্প লাভেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
পাবনা থেকে গরু নিয়ে আসা সাঈদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গরুর দাম নেই বললেই চলে। গতকাল যে গরুর দাম এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছিল; আজকে সেই গরু ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পুরোটাই লোকসান বলে জানান তিনি।
বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানালেন, হাটে গরুর অভাব নেই। তারপরও বেশি লাভ করার জন্য বেপারিরা গরু বিক্রি করছেন না। একটা গরুর সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন মণ মাংস হবে। অথচ দাম চাচ্ছে ৯০ হাজার টাকা। বাস্তবে গরুটার দাম সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হবে।
সিরাজগঞ্জের গরু ব্যাবসায়ী আবুল হাসেম বলেন, একটি গরু গ্রামে কেনা পড়েছে ৮০ হাজার টাকা। এরপর এক সপ্তাহ খাওয়ানো,গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় আনাসহ প্রতিটা গরুর পেছনে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। এখন সেই গরুর দাম বলছে ৭০/৭৫ হাজার টাকা। প্রতিটি গরুতেই ১০/১২ হাজার টাকা লোকসান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এ গরু বিক্রেতা বলেন, লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করবো না; প্রয়োজন হলে আবার গ্রামে ফেরত নিয়ে যাবো।
এদিকে গরু কিনতে আসা আরেক ক্রেতা জানান, গতকাল রাতেই গরু কিনতে এসেছি। কিন্তু অযথা বাড়তি দাম চেয়েছেন বিক্রেতারা। রাতের তুলনায় সকালে গরুর দাম কিছুটা কমেছে। সকালে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। কুরবানির গরু কিনতে পেরে ভালোই লাগছে বলে জানান তিনি।
এদিকে হাটগুলোতে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব গরুর ক্রেতাই তুলনামূলক বেশি। যার ফলে অপেক্ষাকৃত কম বিক্রি হচ্ছে বড় আকারের গরু।
এ বিষয়ে ইজারাদাররা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার হাটে দেশীয় পশুর সরবরাহ বেশি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে এসে গরুর দাম কমে গিয়েছে। তবে এবারের গরুর হাট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইজারাদাররা।
আরও পড়ুন