শেষ মুহূর্তের দুই গোলে জয়ী ব্রাজিল
প্রকাশিত : ২০:১৪, ২২ জুন ২০১৮
গোলের পর উল্লাস নেইমারের।
আর্জেন্টিনা না পারলেও পেরেছে ব্রাজিল। মেসি না পারলেও পেরেছে নেইমার। চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে অবশেষে জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল। ই-গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ কোস্টারিকাকে ২-০ গোলে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তৃতীয়বারের মতো হারালো ব্রাজিল। দলের জন্য গোল দুইটি করেন কুটিনহো এবং তারকা খেলোয়াড় নেইমার।
একের পর এক সুযোগ ব্যর্থ হওয়ার দিনে ভাগ্য দেবী হয়তো কিছুটা বিরাগ ছিলেন ব্রাজিলের ওপর। ২৬ মিনিটে হওয়া গোল বাতিল হয় অফসাইডের ফাঁদে। আর ৭৯ মিনিটে বাতিল হয় রেফারির ডাকা পেনালটির সিদ্ধান্ত। তবে এতকিছুর পরেও দুই গোলের জয়ে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিতের শিষ্যরা।
গোলহীন প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পায়নি কোন দল। তবে নির্ধারিত অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ গোলে দলের জন্য প্রথম গোলটি করেন মিডফিল্ডার কুটিনহো। অফসাইডের কারণে গোল বঞ্চিত গ্যাব্রিয়েল জেসাসের সাজিয়ে দেওয়া বল পায়ের ছোঁয়ায় কোস্টারিকার জালে ঢেলে দেন কুটিনহো। চীনের দেয়ালের মতো আগলে রাখা কোস্টারিকার রক্ষণভাগকে শেষ পর্যন্ত হার মানায় নেইমার-কুটিনহো আর মার্সেলোরা।
ছবিঃ এই কান্না আনন্দের। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর মাঠেই কেঁদে ফেলেন নেইমার।
দলের জন্য দ্বিতীয় গোলটি করেন ইনজুরি নিয়েই মাঠে নামা নেইমার। অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময়ের একদম শেষ দিকে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি করেন নেইমার। ডগলাস কস্টার বাড়িয়ে দেওয়া বল বাম পায়ে নির্ভুলভাবে কোস্টারিকার জালে প্রবেশ করান নেইমার। আর নিজে কেঁদে উদযাপন করেন গোল আনন্দ।
টানটান উত্তেজনাকর এই খেলায় বেরিয়ে আসে মোট তিনটি হলুদ কার্ড। দুই দলের সমান তিনটি করে অফসাইড। অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে ব্রাজিলের প্রথম গোল। ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির কল্যাণে বাতিল হয়েছে ব্রাজিলের পেনালটি। তবে ভাগ্যের এত সহায়তা পেয়েও শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো অস্কার রামিরেজের কোস্টারিকাকে। আর শেষ হাসি যায় ব্রাজিলের ঘরে।
ছবিঃ কোস্টারিকার জালে ব্রাজিলের পাঠানো বল। ঘরে ফিরে যাওয়ার টিকিট!
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাজিলের ফিলিপ কুটিনহো।
ব্রাজিলের এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা জেগে থাকলো। আর টানা দুই হারে বিশ্বকাপ আসর থেকে বিদায় নিতে হলো কোস্টারিকাকে। আগামী ২৭ জুন গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও সাইবেরিয়া।