৩৮তম বিসিএস প্রিলি
শেষ সময়ে বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতি
প্রকাশিত : ২০:২২, ১৮ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৭, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
কদিন পরেই ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। দেশের প্রায় তিন লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত চাকরির আশায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে এ পরীক্ষায়। এ সময়ে নিশ্চয়ই ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন বিসিএস প্রত্যাশী বন্ধুরা। বিসিএসে বাংলা বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই বিষয়ে রয়েছে ৩৫ নম্বর। একটু সতর্ক হয়ে প্রস্তুতি নিলে এ বিষয়ে ভালো নম্বর তোলা যায়। কিভাবে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে পারেন- এ বিষয়ে ইটিভি অনলাইনের মাধ্যমে পাঠকদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ৩৬তম বিবিএস শিক্ষা ক্যাডার বাংলা (মেধা তালিকায় বাংলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী) এস.এম. হাসান উল ইসলাম। তার টিপস নিয়ে লিখেছেন ইটিভি অনলাইনের রিপোর্টার মো. মাহমুদুল হাসান ।
বিসিএস প্রস্তুতির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী বন্ধুদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। সেটি হচ্ছে- প্রিলির প্রস্তুতি যদি ভালোভাবে নেওয়া যায় তাহলে লিখিত এবং ভাইভার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে থাকা যায়।
বর্তমানে ভাইভা পর্যন্ত যেতে পারলে চাকরি প্রায় নিশ্চিত । তাই বিসিএসের অন্যান্য বিষগুলোর মত বাংলা বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে। এর মাধ্যমে কি কি প্রশ্ন আসবে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তাই নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। সফলতা আসবেই।
বাংলা বিষয়কে প্রধানত সাহিত্য এবং ব্যাকরণ এই দুই অংশে ভাগ করে পড়তে পারেন।
সাহিত্য-২০ (প্রাচীন ও মধ্যযুগ-৫ এবং আধুনিক যুগ-১৫)
প্রাচীন ও মধ্যযুগ-৫
প্রাচীন ও মধ্যযুগ থেকে ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে । এ জন্য প্রাচীন ও মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও সাহিত্য সম্পর্কে জানতে হবে।
সাহিত্যের ক্ষেত্রে চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ সাহিত্য, লৌকসাহিত্য ও ময়মনসিংহ গীতিকা, নাথ ও আরবি সাহিত্য পড়তে হবে।
লেখকদের মধ্যে আলাওল, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বড়ু চন্ডিদাস, বিদ্যাপতি, শাহ মুহাম্মদ সগীর, গোবিন্দদাস, জ্ঞান দাস, কবি কঙ্কন, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, আব্দুল হাকিম, ভারতচন্দ্র, ফকির গরীবুল্লাহ, দৌলত উজির, চন্দ্রাবতী। আরকান রাজসভার কবিদের সম্পর্কেও ভালোভাবে পড়তে পারেন।
আধুনিক যুগ-১৫
আধুনিক যুগের সাহিত্যিকদের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মুধুসূদন দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মীর মোশাররফ, প্রমথ চৌধুরী, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, রোকেয়া, জীবনানন্দ সম্পর্কে জানতে হবে।
এছাড়াও রাজা রামমোহন রায়, দীনবন্ধু মিত্র, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবনান্দ দাস, বিভূতিভূষণ, সুকান্ত ভট্রাচার্য, সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া, হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ূন আজাদ, শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দুগুন, সেলিম আলদীন, সৈয়দ শামসুল হক, শওকত ওসমান, জহির রায়হান, জসীমউদ্দিন এবং সেলিনা হোসেন সম্পর্কেও জানতে হবে।
এসব সহিত্যিকদের জীবনী, সাহিত্য কর্ম এবং তাদের বিখ্যাত উক্তি সম্পর্কেও জানেতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্য অবশ্যই জোর দিয়ে পড়তে হবে। এটি যেমন প্রিলিতে থাকে তেমনি লিখিত পরীক্ষাতে থাকেই। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস, নাটক, গ্রন্থ, উক্তি ভালোভাবে পড়তে হবে। বিখ্যাত পত্রিকা ও সম্পাদক সম্পর্কে জানতে হবে। বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও পংক্তি মুখস্থ করে ফেলতে হবে। এছাড়াও বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী বিষয়ক সাহিত্য সম্পর্কেও পড়তে পারেন।
ব্যাকরণ অংশ
ব্যাকরণের জন্য নবম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইটি ভালোভাবে পড়তে হবে। লালনীল দ্বিপাবলি এবং সৌমিত্র শেখর স্যারের বইটি থেকে যুগ বিভাগ, বিখ্যাত লেখকদের সম্পর্কে জানতে হবে।
অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় ব্যাকরণের ৩০ নম্বর মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর যদি ব্যাকরণ বিষয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় তাহলে রিটেনের সময় ভালো কাজ দেবে। এতে আপনার লেখার মান সমৃদ্ধ হবে এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন