শেষ হলো বিমসটেক সম্মেলন, সভাপতির দায়িত্বে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৯:৫৯, ৪ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। আগামী দুই বছর এই দায়িত্ব পালন করবে দেশটি।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে থাইল্যান্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব বুঝে নেয় বাংলাদেশ। এসময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে আঞ্চলিক সংযোগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা (সরকার প্রধানরা) সর্বসম্মতিক্রমে ব্যাংকক ঘোষণাপত্র এবং বিমসটেক ব্যাংকক ভিশন গ্রহণ করেছেন, যা একটি কৌশলগত রোডম্যাপ। এটি সংগঠনটিকে টেকসই উন্নয়ন এবং গভীর অর্থনৈতিক একীকরণের দিকে পরিচালিত করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চলমান ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। এ বছর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা থাইল্যান্ডের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেয় বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, বিমসটেকের সনদ অনুসারে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চেয়ারম্যানের পদ বর্ণানুক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়। এ সম্মেলনে মূলত সাত সদস্যের আঞ্চলিক ব্লক: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নেতারা ‘সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং উন্মুক্ত বিমসটেক’ থিমের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আজ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয় অংশগ্রহণকারী নেতাদের একটি প্রতীকী গ্রুপ ছবির মাধ্যমে। এরপর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ বিদায়ী বিমসটেক সভাপতি স্বাগত ভাষণ দেন। এছাড়া মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্যান্য বিমসটেক নেতারা আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে তাদের দেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বিবৃতি প্রদান করেন।
নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে নতুন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
এমবি//
আরও পড়ুন