শ্রদ্ধা ভালোবাসায় শেখ কামালকে স্মরণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৬৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট শেখ কামাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদত বরণ করেন। দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলো সকাল ৮টায় ধানমণ্ডি আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বেলা ১১টায় এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

আবাহনী লিমিটেড সমর্থকগোষ্ঠী ৫ আগস্টের প্রথম প্রহর ১২টা ১ মিনিটে ক্লাব চত্বরে স্থাপিত আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

বিকালে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে স্মৃতিচারণ সভা। আওয়ামী যুবলীগ এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ অনার্স পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে জড়িত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় বেশ উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।
//এআর