শ্রমিক সংকটে আশা জাগাচ্ছে সমলয় পদ্ধতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দেশে সমলয় পদ্ধতিতে বাড়ছে ধানচাষ। বীজতলা তৈরি থেকে ধানকাটা পর্যন্ত যান্ত্রিকীকরণে লোকবল লাগছে কম। শ্রমিক নির্ভরতা কমার পাশাপাশি বেড়েছে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণও। কমেছে খরচ, বাড়ছে উৎপাদন।
শিল্পায়নে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শহরমুখী মানুষের সংখ্যা। সংকট বাড়ছে কৃষিশ্রমিকের। এছাড়া আবাদযোগ্য জমি কমায় ধানের উৎপাদনও কমেছে। বাড়ছে আমদানি নির্ভরতা।
এমন বাস্তবতায় ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষিবিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ।
মেহেরপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকের যে খরচ সেটা সাশ্রয় এবং সময় উপযোগী সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ চলছে।”
বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সব কাজ একযোগে যন্ত্রে করা হয় বলেই একে বলা হয় সমলয় পদ্ধতি।
কুমিল্লা, চাঁদপুর, মেহেরপুর ও পঞ্চগড়ের সাড়ে ৭ হাজার বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে চলছে বোরোর আবাদ।
প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানচাষে বিঘাপ্রতি খরচ ১৫-১৬ হাজার টাকা। সমলয় পদ্ধতিতে অর্ধেক খরচ হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
চাষীরা জানান, এই পদ্ধতিতে যদি চাষাবাদ করা যায় তাহলে আমরা সুফল পাবো। এই চাষাবাদে আমরা অনেক আনন্দিত।
কম খরচে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি বিভাগ।
খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওপিও পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “সার্বিকভাবে এটা কৃষকের জন্য সাশ্রয়ী। খরচ কম যাচ্ছে, সাথে সাথে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সময়ও কম লাগছে।”
সারাদেশে সমলয় পদ্ধতি ছড়িয়ে দেওয়া গেলে বাড়বে উৎপাদন। কাটবে কৃষিখাতের শ্রমিক সংকটও।
এএইচ
আরও পড়ুন