সংকটে লাতিন আমেরিকা, ব্রাজিলেই মৃত্যু ৫১ হাজারের বেশি
প্রকাশিত : ০৯:০৭, ২৩ জুন ২০২০
করোনার ভয়াবহতা থেকে খুব সহসাই মুক্তি মিলছে বিশ্ববাসীর তা অনেকটা স্পষ্ট। ভাইরাসটি ইউরোপে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। যাতে সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি ও জনসাধারণের সচেতনতা ছিল অনেক বেশি। যা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বলে গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে।
প্রতিদিনই রেকর্ড আক্রান্তে শেষ পর্যন্ত এ অঞ্চলের দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে করোনায় ইতিমধ্যে ৫১ হাজারের বেশি মানুষ পৃথীবি ছেড়েছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ফুটবল লীগ চালু রাখার পাশাপাশি নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। যদিও সে পরিকল্পনা চাপের মুখে ভেস্তে গেছে। অপরদিকে, পেরুর মতো দেশগুলোতেও একই অবস্থা। জনসাধারণের চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক সেখানে। ফলে, সময় যত গড়াচ্ছে করোনা ভয়ংকর হয়ে উঠছে সেখানে।
ব্রাজিলের পরই যে দেশটিতে করোনা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তা হলো মেক্সিকো। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশেরও চেয়ে দেশটিতে করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে। তারপরও দেশটিতে প্রাণহানির হার ১৪ শতাংশ। অনেক কল কারখানাসহ খোলা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। এতে করে অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, গত একদিনের তুলনায় আবারও সংক্রমণ বেড়েছে ব্রাজিলে। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৭৩৮ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪০৭ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা পেরুতে। দেশটিতে প্রাণহানি ততটা বেশি না হলেও সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২২ জনের।
এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। প্রাণ গেছে সেখানে ৪ হাজার ৫০২ জনের।
আর ব্রাজিলের পথেই হাটা মেক্সিকোয় গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে হানা দিয়েছে ভাইরাসটি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৭৫৯ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ হাজার ৫৮৪ জন।
এআই//