ঢাকা, শনিবার   ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সংস্কার প্রসঙ্গে চলতি মাসে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে সরকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৬টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অনলাইন আপলোড করা হয়েছে। কমিশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের কথা বলেছেন। যা আগামী নির্বাচনের আগে করা যেতে পারে। আশু করণীয় কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে। ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা রাজনীতির দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা করতে আগ্রহী। তারা রাজি থাকলে রোজার মধ্যেও আলোচনা কন্টিনিউ করব। রাজনৈতিক দলগুলোর যে দ্রুত নির্বাচন চান, মনে করি এটা তাদের অধিকার আছে। দ্রুত বলতে কী এটা কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলেননি। নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে আমাদের প্রেস সচিব বারবার ক্ল্যারিফাই করেছেন। ডিসেম্বর অথবা জুন। জুনের ক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুম আরও দু-তিন মাস এগিয়ে এপ্রিল হতে পারে, মার্চে হতে পারে। এটা প্রথম থেকে ক্লিয়ার করা। 

‘জুলাই ঘোষণাপত্র বিএনপি একটা তৈরি করেছেন। বিএনপির জোট সঙ্গীদের উনারা দিয়েছেন, উনাদের জোট সঙ্গীদের মতামতের ভিত্তিতে আবার ফাইনালাইজ হলে, আমাদের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন।’  

তিনি বলেন, পাঁচটা কমিশন আমাদের আশু করণীয় বলেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় বলেনি। সংবিধান সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা প্রত্যেকটা সংস্কার রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটাকে গ্রহণ করা হবে কী, হবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে কোনো আশু করণীয় পাই নাই। 

আসিফ নজরুল বলেছেন, আইন করতে হলে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের  প্রয়োজন হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা হবে না। আমরা উচ্চ আদালত আইন করেছি, সেটা নিয়ে কোনো পলিটিক্যাল পার্টি তার বিরোধীতা করেছে? করে নাই তো। তারপরও এই আইন করার সময় পলিটিক্যাল পার্টির আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনের তিনটি স্ট্রাকচার আছে। একটা হচ্ছে আশু করণীয় আরেকটা মধ্যমেয়াদি, আরেকটা দীর্ঘমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে। আশু করণীয়, এই বিষয়ে আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন আগেই করা হবে। মধ্যমেয়াদি সংস্কার ডিপেন্ড করে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুক সংস্কার চায় তার ওপর। মামলার শুনানি ক্ষেত্রে আমরা লিমিট করে দিতে চাচ্ছি। 

গত ৫০ বছরের রাজনীতি দলগুলো অনেক বড় বড় ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন সমালোচনা করি তখন তাদের ভালো কাজগুলো ভুলে যাই। আর প্রতিটা দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। 

আইন উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারগুলো করার হচ্ছে আমাদের দীর্ঘ সময় ক্ষমতা থাকার জন্য না। এই সরকারের অযথা ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি সেগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এতে দ্বিধা দ্বন্দ্বের কোনোরকম অবকাশ নাই।

বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত রয়েছেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি