‘সংস্কার ভাবনায় পিছিয়ে পড়াদের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নেই’
প্রকাশিত : ২১:৪৬, ২০ মার্চ ২০২৫

সরকার যেসব সংস্কার কমিশন করেছে, সেখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সঠিক প্রতিনিধিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের’ আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে পিছিয়ে পড়া মানুষের ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং তাদের ভোটের নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কের দপ্তর এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ যৌ0থভাবে ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশার অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় ঢাকার জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান প্রমুখ।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, স্বৈরাচার ও একনায়কতন্ত্রের কারণে আমাদের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। আমাদের টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। উন্নয়নের বয়ানের বিপক্ষে আমরা সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য কাজ করছি। মোকাবেলা করেছি নানা রকম প্রতিবন্ধকতা। সে সময় আমরা সম্মিলিত সমস্যার মোকাবেলা করেছি। জাতিসংঘ আমাদের সঙ্গে ছিল।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কিছু লোক নৈতিক খবরদারি করার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের সংখ্যা বড় না। কিন্তু তারা কাজটা করছে বড়ভাবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহার তৈরি শুরু হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য প্রতিশ্রুতি আলাদা ভাবে না থাকলে তারা ইশতেহার গ্রহণ করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই বললাম এই পরিবর্তন বৈষম্যবিরোধী। কিন্তু সব বৈষম্য নিয়ে কি কথা হয়? লিঙ্গ বৈষম্য, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈষম্য ও সুরক্ষা, নারীর বৈষম্য নিয়ে কি কথা হচ্ছে? হচ্ছে না।’
জনগণ এতদিন বিভ্রান্তিকর উন্নয়নের বয়ানে ছিল উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখন প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার সময় এসেছে। বাংলাদেশের গড়ে উন্নতি হলেও পার্থক্য রয়ে গেছে। উন্নয়নের মধ্যে সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সমাজের কোন অবস্থান থেকে, কোন গোত্র থেকে এসেছে তার ওপর নির্ভর করেছে কে উন্নয়নের সুবিধা পাবে, আর কে পাবে না।’
তিনি বলেন, গড় আয়ু বেড়েছে কিন্তু গরিবদের গড় আয়ু বাড়ে নাই। স্কুলের অন্তর্ভুক্তি শতভাগ হয়েছে কিন্তু গরিবদের সবাই স্কুলে যায় না। এজন্য সঠিক পরিসংখ্যান দরকার সঠিক পরিসংখ্যান না হলে সবাইকে নীতির মধ্যে আনা যাবে না।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এসএস//
আরও পড়ুন