ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

সঙ্গীর সঙ্গে মেসেজিংয়ে এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

আমাদের সম্পর্কের ভিত পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেই তৈরি হয়। একে অপরের সঙ্গে কথা বলে কত অজানা বিষয় জানা যায়। মানুষটিকে আরও গভীরে চেনা যায়। তাই একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে কথা বলা আবশ্যক।

এদিকে বর্তমান দৌড়ে চলা জীবনে একে অপরের সঙ্গে দেখা করার সময় খুঁজে পাওয়া ভীষণই কঠিন। তাই মানুষ হাতে তুলে নিয়েছে আধুনিকতার অস্ত্র। সেক্ষেত্রে মোবাইল হয়ে উঠেছে কথা বলার অন্যতম হাতিয়ার। অবশ্য কলিং ফ্রি হলেও বেশিরভাগ মানুষই ফোনে কথা বলতে পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবহার করেন মেসেজ।

আর এই বিকল্পের পিঠে চেপেই যুগল একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। নাওয়া, খাওয়া, পরা থেকে রকেট সায়েন্স- পছন্দ অনুযায়ী নিজের নিজের মতো বিষয়ে কথা বলছেন দুজনে। এভাবেই গুটি গুটি মেসেজে মজবুত হচ্ছে সম্পর্ক।

তবে মুদ্রার অপর পিঠও রয়েছে। সারাদিন মেসেজ করতে বসে অনেকে বুঝতেই পারছেন না, কী করব, কী করব না। আর সেখান থেকেই দেখা দিচ্ছে সমস্যা। কখন যে মেসেজের ভুল ব্যবহার সম্পর্ককে খারাপ করে দিচ্ছে বোঝাই যায় না। 

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মেসেজ করার সময় এই বিষয়গুলি যেন অবশ্যই মানা হয়।

>সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়গুলির খেয়াল রাখুন- সে কেমন অবস্থায় রয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে মেসেজ করা যায় কিনা, তার মুড কেমন রয়েছে, এই বিষয়গুলি অবশ্যই বুঝে নিয়ে মেসেজ করতে বসুন।

>একবার মেসেজ করেছেন, দুইবার মেসেজ করেছেন ঠিক আছে! তবে তারপরও কোনও রিপ্লাই না আসলে তখনই আবার মেসেজ করতে যাবেন না। তিনি তো কোনও কাজেও ব্যাস্ত থাকতে পারেন। ফ্রি হয়ে মেসেজ করবেন। তাই আর আপনি কোনও অবস্থাতেই ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে মেসেজ করবেন না।

>উঠেছ, খেয়েছ, ঘুমিয়েছ, কি করছ, গোসল করেছ?… এমন প্রশ্নের ফুলঝুরি নিয়ে বসে থাকলে যে কারও রাগ হবে। তাই কথায় কথায় এমন প্রশ্ন ঠুকে দেওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। বরং স্বাভাবিক কথা বলুন। ভালো লাগবে।

>আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মেটানোর অস্ত্র হিসেবে মেসেজকে ব্যবহার করেন। 

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। বরং বাড়তে থাকবে সমস্যা বরং দীর্ঘায়িত হবে মেসেজ। তাই এভাবে কোনও মতেই মেসেজ করতে যাবেন না।

>অনেক মানুষ আছেন যারা ঠিকভাবে মেসেজের উত্তর পর্যন্ত দেন না। শুধু হুম, হ্যাঁ, না, ঠিক আছে বলেই কাজ সেরে দেন। এমন মানুষগুলিকেও সতর্ক হতে হবে। কারণ এই ধরনের উত্তরের মাধ্যমে তারা সঙ্গীর প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করেন।

সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি