সন্তান গর্ভাবস্থায় পেট ফেটে যাওয়া থেকে বাঁচতে
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২২:২২, ২ অক্টোবর ২০১৭
শিশু গর্ভে থাকার সময় মায়ের পেটে ফাটা দাগ দেখা দেয়। শিশুর জন্মের পরও পেটের ত্বকে লম্বা লম্বা দাগ থাকে অনেক সময়। তবে গর্ভাবস্থায় সচেতন থাকলে দাগহীন পেট রাখা সম্ভব ৷
দাগের কারণ: একজন মা গর্ভাবস্থায় প্রায় ৪০ সপ্তাহ ধরে দুই লিটার পানিসহ সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন৷ তাছাড়া জরায়ুসহ পেটের ত্বকের টিস্যু এমনভাবে তৈরি, যা ধীরে ধীরে রাবারের মতো বড় হয় ৷ কারণ গর্ভে থাকা সন্তানের আকার বড় হওয়ার সঙ্গে পেটও বড় হতে থাকে ৷
এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে টান পড়ে ৷ এতে পেটে প্রথমে লালভাব, নীল সবশেষ ফাটা দাগ দেখা দেয় ৷ এই দাগ শিশুর জন্মের আগে পেট, ঊরু ও নিতম্বে হয় ৷ তবে এর পেছনে কিছুটা বংশগত কারণও থাকতে পারে ৷
খাদ্যাভাস: পেটকে দাগমুক্ত রাখতে গর্ভবতী থাকাকালীন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে ৷ খাবার তালিকায় রাখতে হবে শস্যদানাযুক্ত খাবার, মাছ, বিভিন্ন সবজি- ব্রোকলি, গাজর, ভিটামিন ‘ই’ ও ‘সি’ যুক্ত খাবার, চিনিবিহীন চা এবং প্রচুর পানি পান করতে হবে৷
হাঁটাচলা: মনে রাখবেন যত বেশি হাঁটবেন তত ভাল। হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় ৷ এর ফলে ত্বক দাগ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। তাছাড়া গর্ভবতীরা ‘ইয়োগা’ বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। তবে মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে সাঁতার কাটা ৷
‘ঠাণ্ডা-গরম’ শাওয়ার: মনে রাখবেন ঠাণ্ডা-গরম শাওয়ার আপনার ত্বকের জন্য অনেক ভাল। এক্ষেত্রে প্রথমে ঠাণ্ডা, পরে গরম, আবার ঠাণ্ডা এভাবে শাওয়ার নিতে হবে। এতে ত্বকে ব্লাড সার্কুলেশন ভালোভাবে হয় ৷ গর্ভধারণের শুরু থেকেই এটা করা উচিত ৷ রোজ গোসল করার সময় পেট, নিতম্ব, ঊরু ও স্তনে আলাদা আলাদাভাবে ঠাণ্ডা-গরম-ঠাণ্ডা পানির শাওয়ার নিন ৷
তেলের মাসাজ: পেটের সন্তানের জন্ম যাতে সহজভাবে হয় সেজন্য গর্ভবতী নারীদের পেটে তেল মালিশ করার প্রচলন চালু আছে ৷ জার্মান ফার্মাসিস্ট তানিয়া ফ্রানৎস জানান, সবচেয়ে ভালো হয় বাদাম তেল মালিশ করা হয় পেটে। কারণ বাদাম তেল ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর রাখে ৷
এক্ষেত্রে অবশ্যই আস্তে আস্তে মালিশ করতে হবে। কোনোভাবে যেন পেটে চাপ না লাগে ৷ এভাবে নিয়মিত যত্ন নিলে অনেকটাই দাগমুক্ত রাখা সম্ভব৷
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
/আর/এআর