সন্তান যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছে না তো?
প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২০ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১১:৫১, ২০ মার্চ ২০২২
যৌন নিগ্রহের শিকার হলেও শিশুদের পক্ষে তা বলে ওঠা সহজ নয়, কিন্তু মানসিক ও শারীরিক ভাবে পরিণাম হয় মারাত্মক।
শিশুরা সব কথা বলে বোঝাতে পারে না। বিকৃত যৌনাচারের শিকার হলে মানসিকভাবে স্থির থেকে সব কিছু বুঝিয়ে বলা এমনিতেই কঠিন। পাশাপাশি শিশুদের পক্ষে বিষয়টি বুঝে ওঠাও সহজ নয়।
ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌন হিংসার শিকার হলেও শিশুদের পক্ষে তা বলে ওঠা সম্ভব হয় না। কিন্তু মানসিক ও শারীরিক ভাবে এর পরিণাম হতে পারে মারাত্মক। তাই শিশুদের মনের কথা বুঝতে অভিভাবকদের ভূমিকা হয়ে ওঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. শিশুদের পক্ষে নিগ্রহ বুঝে ওঠা সহজ নয়। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলে চলবে না। যদি মনে হয় শিশুর কোনো অসুবিধা হচ্ছে এবং কী সমস্যা হচ্ছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তা হলে হতে হবে সতর্ক।
২. যৌন নিগ্রহের শিকার হলে মানসিক ভাবেও তীব্র ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শিশুদের উপর। সন্তানের আচমকা চুপচাপ হয়ে যাওয়া, বাবা-মাকে ছাড়া কোথাও থাকতে না চাওয়া। বাড়িতে একা একা দীর্ঘ ক্ষণ শুয়েবসে থাকা, কিছু বিশেষ আত্মীয় পরিজনদের কাছে না যেতে চাওয়া একেবারেই ভাল লক্ষণ নয়।
৩. অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যৌন নিগ্রহের শিকার হলে শিশুদের হঠাৎ বুড়ো আঙুল চোষা, দাঁত দিয়ে নখ কাটার মতো লক্ষণও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে।
৪. চঞ্চল সন্তান যদি হঠাৎ শান্ত ও নিস্তেজ হয়ে যায়, কথা শুনতে শুরু করে, তা হলেও সতর্ক হতে হবে তৎক্ষণাৎ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের যৌন নিগ্রহের পিছনে হাত থাকে পরিচিত কোনও মানুষেরই। কাজেই মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন শিশুদের কথা। শৈশবের ভ্রান্তি বলে এড়িয়ে গেলে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ।
এছাড়া সন্তানের সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যাতে যেকোনও কথাই নির্দ্বিধায় আপনার সন্তান আপনার সাথে শেয়ার করতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
এসবি/