সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রম ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নজরদারি
প্রকাশিত : ১৩:০৩, ২৫ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১৩:০৩, ২৫ জুলাই ২০১৬
সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রম ঠেকাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলছে অনুপস্থিত ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির কাজ। তবে, এসবের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে উগ্র মতবাদ ছড়াতে না পারে, সেব্যাপারে নজরদারি বাড়ানোসহ শিক্ষাপদ্ধতি ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পর জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা ও পুলিশি নজরদারি।
এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গঠন করা হয়েছে বিশেষ দুটি সেল।
এদিকে, শিক্ষা পদ্ধতির নানা অসঙ্গতি ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার মতো ঘটনা শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করছে বলে মনে করে অনেক শিক্ষার্থী।
শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, শৈশব থেকেই প্রতিটি পরিবারকে সন্তানদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রতি আগ্রহী করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। বড় হওয়ার পর হঠাৎ করে সন্তানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে, শৈশব থেকেই তাকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ারও পরামর্শ তাদের।
পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে বাঙ্গালির অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়বস্তু সংযুক্ত করা উচিত বলে মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী।
দেশের তরুণ প্রজন্ম যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকে সবারই নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা।
আরও পড়ুন