ডাকসু নির্বাচন
সব প্যানেল চূড়ান্ত হবে কাল
প্রকাশিত : ১১:৫৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১২:১৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ ক্যাম্পাসে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন। কোন সংগঠনের কে কোন পদে নির্বাচন করবে তা নিয়েও চলছে তোড়জোড়। আজকের (রবিবার) মধ্যেই সব জোট চূড়ান্ত হবে। আগামীকাল সোমবার নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় শেষ হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন বা অন্য বাম ছাত্রসংগঠন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরাও প্যানেল গড়তে কাজ করছে। আজকের মধ্যে প্যানেল চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জান গেছে, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের অনুসন্ধানের পর ছাত্রলীগের প্যানেলে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে সংগঠনটির সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মনোনীত করা হয়েছে। তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে হল সংসদের প্যানেল চূড়ান্ত করবেন।
ছাত্রদল এখনো প্যানেল গঠনের পথে এগোতে পারেনি। তবে তারা পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুকদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে।
বাম ছাত্রসংগঠনগুলো এখনো জোট গঠন করতে পারেনি। সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে তারা জোট গঠন করবে বলে জানা গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দলে টানতে চেষ্টা করছে সব ছাত্রসংগঠন। তবে দাবি-দাওয়ার সঙ্গে একমত না হওয়ায় তারা পৃথক প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১৯টি হল রয়েছে। এর মধ্যে একটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। বাকি ১৮টি হলে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া তিনটি হোস্টেল ও একটি ছাত্রীনিবাসের ভোটগ্রহণ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য ২৫টি পদ, আর হল সংসদে পদ ১৩টি। সেই হিসাবে প্রতিটি জোট বা ছাত্রসংগঠনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে মোট ২৫৯ জন প্রার্থী প্রয়োজন।
সূত্র বলছে, ক্যাম্পাসে একচেটিয়া আধিপত্য থাকায় হলে হলে ছাত্রলীগের প্রার্থী মনোনয়নে সংকট হবে না। তবে অন্যরা সংকটে পড়তে পারে। নিজেদের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদেরও মনোনয়ন দেবে।
ছাত্রদল দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে না থাকায় কর্মী সংখ্যা খুবই কম। তার পরও প্রতিটি হল ও কেন্দ্রীয় সংসদে প্যানেল দিতে তারা সক্ষম। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি কম হওয়ায় জিতে আসার মতো প্যানেল দেওয়া তাদের কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
বাম জোটের নেতাকর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় তারাও সংকটে পড়বে। কিন্তু সব বাম সংগঠন একত্রে প্যানেল ঘোষণা করলে পর্যাপ্ত প্রার্থী পাওয়া যাবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা হলে প্যানেল দিতে না পারলেও কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেবে তারা।
টিআর/
আরও পড়ুন